অনলাইন ডেস্ক:

চকরিয়ার কৈয়ারবিল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী জন্নাতুল বকেয়া
চকরিয়ার কৈয়ারবিল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী জন্নাতুল বকেয়াছবি: সংগৃহীত
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জন্নাতুল বকেয়া পেয়েছেন ৯৯ ভোট। নৌকা প্রতীকে তাঁর এত কম ভোট পাওয়া নিয়ে এলাকায় শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। জন্নাতুল বকেয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক।

কৈয়ারবিল ইউপিতে ৩ হাজার ৭৫৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মক্কি ইকবাল হোসেন। তিনি ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আফজল উর রহমান চৌধুরী পেয়েছেন ৩ হাজার ৩১৩ ভোট।

নৌকার এমন ভরাডুবি বিষয়ে জন্নাতুল বকেয়া বলেন, ‘আমি হেরে গেছি, তাতে অখুশি না। কারণ, দলের নেতা-কর্মীরা আমার জন্য প্রকাশ্যে ও গোপনে বিরোধিতা করেছেন। শুরুতে জনগণের ব্যাপক সাড়া পেয়েছিলাম। একজন নারী চেয়ারম্যান প্রার্থী পেয়ে ভোটাররা খুশি ছিলেন। কিন্তু নারী হিসেবে দলের নেতাদের ঈর্ষার কারণ হয়েছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন, এটা তাঁরা সইতে পারছেন না। ফলে নৌকাকে তাঁরাই ডুবিয়ে দিয়েছেন।’

২০১৬ সালে ইউপি নির্বাচনে কৈয়ারবিলে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ আহমদ চৌধুরী। ওই নির্বাচনে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী মক্কি ইকবাল হোসেনের কাছে হেরে যান ফিরোজ আহমদ চৌধুরী। দুজনের কেউ এবার দলের মনোনয়ন চাননি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, কৈয়ারবিলে বিএনপি-জামায়াতঘেঁষা লোক বেশি। এখানে জমিদার পরিবারকেন্দ্রিক ভোটের সমীকরণ হয়। ওই পরিবার থেকে যুগ যুগ ধরে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে আসছেন। এবারও তাঁদের পরিবারে কাউকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী করা হলে নৌকার এমন লজ্জাজনক পরাজয় দেখতে হতো না।

এ বিষয়ে জানার জন্য ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ আহমদ চৌধুরীর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। দেশে তৃতীয় ধাপে ২৮ নভেম্বর চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।