কামাল শিশির,রামু :

বিভিন্ন বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালানোর পরও ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি পেঁয়াজ।

রামু উপজেলার বাজার গুলোতে কোনোভাবেই স্থিতিশীল রাখা যাচ্ছে না পেঁয়াজের বাজার। এভাবে ভোক্তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে ১১০ টাকা কেজি পেঁয়াজ এক লাফে ১৬০ টাকায় বিক্রি করা শুরু হয়। এরপর কয়েক দফায় দাম বাড়িয়ে ২০০ – ২৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের দোকানে ২২০-২৩০ টাকায় বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।

গত দুদিনে ভোক্তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে প্রশাসন।

কিন্তু তারপরও ২০০ – ২৩০ টাকা দরেই বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ।

সরেজমিনে উপজেলার ঈদগড় বজার, গর্জনিয়া বাজার, রামু চৌমহনী বাজারসহ একাধিক বাজার ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। কোনো কোনো বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজও ২০০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। আবার অনেক বাজারে বড় সাইজের চাইনিজ পেঁয়াজ ১৭০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

কামাল নামের একজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘বেশি দামে পাইকারদের কাছ থেকে পেঁয়াজ কিনে এনেছি। লোকসান দিয়েতো আর বিক্রি করতে পারবো না। আমাদের জরিমানা করে কী লাভ? মজুতদারদের নিয়ন্ত্রণ করা গেলে বাজারে এমনিতেই দাম কমে যাবে।’

ক্রেতা আমিন বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা তাদের ইচ্ছামতো দাম নিচ্ছেন। শুনেছি গত কয়েকদিন অনেক জায়গায় জরিমানা করা হয়েছে। তারপরও পেঁয়াজের দাম কমছে না।’

বাবুল নামের আরেক ক্রেতা বলেন, পর্যাপ্ত পরিমাণে পেঁয়াজ আছে বাজারে। কিন্তু তারপরও অসাধু ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে কয়েকগুণ বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন।