ইমাম খাইর, সিবিএন:
কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমদ সিআইপির মনোনয়নপত্র আপিল বিভাগেও বাতিল হয়েছে বলে গুঞ্জন ওঠেছে।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
শুনানি চলাকালে প্রার্থিতা ফিরে পেতে একের পর এক যুক্তি তুলে ধরছিলেন সালাহউদ্দিনের আইনজীবী। এক পর্যায়ে তার আইনজীবী আপিল বিভাগকে বলেন, বিশ্ববাসীর জন্য একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হলে সালাউদ্দিনকে এই সুযোগটুকু দেয়া প্রয়োজন।
আপিল বিভাগ বলেন, আপনার বিরুদ্ধে অর্থঋণ আদালতে মামলা চলবে কি না সেটা অর্থঋণ আদালত সিদ্ধান্ত নেবে। আপনারা পরের দিনই হাইকোর্টে চলে আসলেন। হাইকোর্টের তো এ ক্ষমতা নেই।
এদিকে সালাহউদ্দিনের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচার পায়। পক্ষে-বিপক্ষে অনেকে লেখালিখি করছে।
তবে, সালাহউদ্দিন আহমদ সিআইপি এসবকে “অপপ্রচার” মন্তব্য করে নিজের ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন, “প্রিয় চকরিয়া-পেকুয়াবাসী আসসালামু আলাইকুম। বিভ্রান্ত হবেন না। নির্বাচন করতে বাধা নেই।”
বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদের প্রতিবাদে তার ব্যক্তিগত সহকারী এম জাবেদ হায়দার লিখেছেন, “আজকে মূলত অর্থঋণ আদালতের মামলার রীটের শুনানি ছিল। মহামান্য আপীল বিভাগ মামলাটি বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের আদালতে আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে এটি নিষ্পত্তির আদেশ দিয়েছেন। এখানে নির্বাচন সংক্রান্ত কোন বিষয়ে আদেশ দেয়া হয় নি (দেয়ার বিষয়ও নয়, কারণ মামলাটি নির্বাচন সংক্রান্ত নয়)।
প্রকৃত সত্য আড়াল করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এটিকে নির্বাচন সংক্রান্ত মামলার রূপ দিচ্ছেন যা অনভিপ্রেত।
এইধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্যে প্রচারিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং সাংবাদিক বন্ধুদের প্রকৃত সত্যটি প্রচারের অনুরোধ করছি।”
উল্লেখ্য, গত ৩ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ঋণ খেলাপির অভিযোগে সালাহউদ্দিন আহমদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন কক্সবাজারের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান। ৬ ডিসেম্বর ওই আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করেন নৌকার প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমদ।
কক্সবাজার-১ আসনে বৈধ প্রার্থী ৯ জন। তারা হলেন, জাতীয় পার্টির (জেপি) প্রেসিডিয়াম সদস্য এ এইচ সালাহউদ্দিন মাহমুদ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, মহাসচিব আবদুল আউয়াল মামুন, ওয়ার্কার্স পার্টির মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু মোহাম্মদ বশিরুল আলম, জাতীয় পার্টি (জাপা) মনোনীত প্রার্থী হোসনে আরা, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন, স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলম ও জাফর আলমের ছেলে তানভীর আহমদ সিদ্দিকী তুহিন।