নিজস্ব প্রতিবেদক:
আকাশ একটু একটু করে পরিষ্কার হচ্ছে। হালকা কুয়াশায় নরম হয়ে আছে প্রকৃতি। কুয়াশা ভেদ করে সূর্য আলো ছড়ানোর চেষ্টা করছে। এরই মধ্যে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টে অনেক মানুষের ভিড়। সবাই এসেছেন দৌড়ে অংশ নিতে।

শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) সুস্বাস্থ্যের জন্য এই দৌড়ের উপলক্ষ্য রান কক্সবাজার হাফ ম্যারাথন-২০২৩। আয়োজক ছিল বেসরকারি সংস্থা ‘বেটার টুগেদার বাংলাদেশ’ ও ‘কক্সবাজার রান’। ৪০০ জনের বেশি দৌড়বিদ এতে অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে ৫০ জন বিদেশি। যেখানে ১০ বছরের শিশু থেকে ৭৪ বছর বয়সী বৃদ্ধরাও অংশ নিয়েছেন।

সকাল সাড়ে ৬টায় বাঁশি বাজে। সাড়ে ৭ কিলোমিটার হাফ ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়। দৌড় শুরু হয় লাবণী পয়েন্ট থেকে। এরপর সুগন্ধা পয়েন্ট, কলাতলী ডলফিন, গুনগাছ তলা, হলিডে মোড় পর্যন্ত গিয়ে আবার লাবণী পয়েন্টে ফিরে আসেন দৌড়বিদরা। দৌড়ে পুরুষ ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছেন মোহাম্মদ সেজান। আর নারী ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছেন ব্রিটিশ নাগরিক জেলিনা।

কক্সবাজারে হাফ ম্যারাথনে অংশ নিতে পেরে আনন্দ প্রকাশ করেন অনেকে। ঢাকা থেকে আসা শফিক আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, নিজেকে ফিট রাখতে শরীরচর্চার কোনো বিকল্প নেই। আর শরীরচর্চার মধ্যে সবচেয়ে ভালো হলো দৌড়। তাই নিজেকে ফিট রাখতে এখানে অংশগ্রহণ করা।

ম্যারাথনে প্রথম হওয়া মোহাম্মদ সেজান বলেন, কক্সবাজারবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল ট্রেন আসবে। ট্রেন এলেও সেটির সুফল আমরা পাচ্ছি না। সব টিকিট কালোবাজারির হাতে। এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে অংশগ্রহণ করেছি।

আয়োজক ‘কক্সবাজার রান’-এর উপদেষ্টা এস এম সোজা ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা সব সময় আমাদের ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে চাই। আজ ৪০০ জন এই ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করেন। যার মধ্যে ৫০ জন বিদেশি। এটি আমরা আরও বেশি করে আয়োজন করতে চাই, যাতে যুবসমাজ যেমন মাদক থেকে বেরিয়ে আসবে তেমনি শরীরচর্চাও হবে।