নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজারে দুদিনব্যাপি পার্ল লিভার ফেস্ট-২০২৩ রোববার (২৪ ডিসেম্বর) শেষ হয়েছে। এতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, এনাম মেডিকেল কলেজ ও ব্রাহ্মনবাড়িয়া মেডিকেল কলেজের লিভার বিশেষজ্ঞগন ও হেপাটোলজি বিভাগের রেসিডেন্টসহ প্রায় ৫০ জন চিকিৎসক অংশগ্রহণ করেন।

গত শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে কক্সবাজার এক্সপ্রেস যোগে ঢাকা থেকে কক্সবাজার আইকনিক রেলওয়ে স্টেশনে এসে পৌঁছান অংশগ্রহণকারী চিকিৎসকবৃন্দ। রাতে কক্সবাজার এক্সপ্রেসেই অনুষ্ঠিত হয় পার্ল লিভার ফেস্টের বৈজ্ঞানিক অধিবেশনটি।

চলন্ত ট্রেনে এ ধরনের বৈজ্ঞানিক অধিবেশনের আয়োজন বাংলাদেশে সম্ভবত এই প্রথম। এতে লিভার ক্যান্সার চিকিৎসায় দেশে উৎপাদিত ইমিউনোথেরাপীর ভূমিকা নিয়ে কিনোট লেকচারটি প্রদান করেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের লিভার বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. জাহাঙ্গীর আলম সরকার।

সেশনটি চেয়ার করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডা. এম এ রহিম। ডিউ এর দায়িত্বে ছিলেন শেখ মোহাম্মদ নূর-ই- আলম এবং মডারেশন করেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের লিভার বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রোকসানা বেগম।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড লিভার ক্যান্সার চিকিৎসায় একাধিক ইমিউন চেক পয়েন্ট ইনহিবিটার বা ইমিউনোথেরাপী উৎপাদন করছে। যা ব্যবহার করে এদেশে লিভার ক্যান্সার রোগীরা উপকৃত হচ্ছেন।

কক্সবাজারে লিভার বিশেষজ্ঞরা সদ্য উদ্বোধন করা কক্সবাজার আইকনিক রেলওয়ে স্টেশন এবং কক্সবাজার ও পার্শবর্তী বিভিন্ন দ্রস্টব্য স্থান পরির্দশন করেন। পার্ল লিভার ফেস্টের আয়োজনে ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশনের প্রধান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল। এর সাইন্টিফিক পার্টনার ছিলো বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি।

অধ্যাপক ডা. স্বপ্নীল জানান, ট্রেনের বিরুদ্ধে চলমান আগুন সন্ত্রাসের প্রতিবাদে তারা ট্রেনে বৈজ্ঞানিক অধিবেশন আয়োজন করেন।

ইতোপূর্বেও ইনানী বীচ, সুন্দরবন, মিঠামইনের হাওর, সেন্টমার্টিন দ্বীপ এবং সিলেটে একই ধরনের লিভার ফেস্টের আয়োজন করা হয়েছিলো, যাতে লিভার বিশেষজ্ঞরা বিজ্ঞান চর্চার পাশাপশি বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের বদলে যাওয়াকে আরও বস্তুনিষ্ঠভাবে চিনতে ও উপলব্ধি করতে সক্ষম হন। এবারের দু’দিনব্যাপী আয়োজন শেষে অংশগ্রহণকারী লিভার বিশেষজ্ঞরা কক্সবাজার এক্সপ্রেস যোগে কক্সবাজার ত্যাগ করেন।