অনলাইন ডেস্ক:
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে কলেজছাত্রীর দায়ের করা ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফির মামলায় প্রেমিকসহ তিন বন্ধুকে কারাবাসে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) নেত্রকোনা জেলা নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক তাদের কারাগারে পাঠান।
মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান।
এর আগে সোমবার সকালে ভুক্তভোগী ওই কলেজছাত্রী বাদী হয়ে ওই তিনজনের বিরুদ্ধে মোহনগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
আসামি তিন বন্ধু হলেন, আটপাড়া উপজেলার দেবীদ্বার গ্রামের জহিরুল ইসলামের ছেলে রোদ্র তালুকদার (১৯), মোহনগঞ্জের বড়কাশিয়া গ্রামের মৃত কাঞ্চন তালুকদারের ছেলে সাজিত মিয়া (২০) ও একই উপজেলার পানুর গ্রামের হাজী রহমানের ছেলে ছাব্বির মিয়া (১৯)।
গত ২১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় তাদের আটক করা হয়। পরে দায়ের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিকেলে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।
মামলার বরাতে ওসি জানান, গত ৩ জানুয়ারি মোহনগঞ্জ শিশুপার্কের বাথরুমে ওই তরুণীর সঙ্গে একান্তে মিলিত হন রোদ্র তালুকদার। বাইরে পাহারার দায়িত্বে থাকে ছাব্বির ও সাজিত। তবে বাথরুমে আগে থেকেই গোপন ক্যামেরা লাগিয়ে কৌশলে তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করে ওই দুজন। পরে ধারণ করা ভিডিও রোদ্র ওই তরুণীর ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জারে পাঠিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা দাবি করেন ছাব্বির ও সাজিত।
তিনি জানান, কাঙ্ক্ষিত টাকা না পেয়ে পরিচিত অনেকের কাছে ধারণ করা ভিডিওটি পাঠাতে থাকেন তারা। এভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ভিডিওটি। একপর্যায়ে ভিডিওটি পুলিশের নজরে আসলে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়। পুলিশ রোববার বিকেলে অভিযান চালিয়ে তিন তরুণকে আটক করে। পরে ওই তরুণী বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করেন। এ মামালায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার বিকেলে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালতের বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।