সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
দুবাই থেকে দেশে ফেরার সময় প্রবাসী উদয়ন বড়ুয়ার(৪২) পরিবারের জন্য দেওয়া ১০ ভরি স্বর্ণ ও অন্যন্য জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে বাঁশখালীর আলমগীরের বিরুদ্ধে। তিনি বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের সিকদার পাড়া এলাকার আবু তাহেরের ছেলে।
এ বিষয়ে প্রবাসী উদয়ন বড়ুয়ার ভাগিনা পালশ ধর(৩৫) বাদী হয়ে বাঁশখালী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রত্নাপালং ইউনিয়নের অভিমানী বড়ুয়ার ছেলে উদয়ন বড়ুয়া বিগত ১০ বছর ধরে দুবাই (আরব আমিরাতে) প্রবাসে আছেন।
প্রবাসী উদয়ন বড়ুয়ার সাথে অভিযুক্ত আলমগীর প্রবাসে থাকাকালীন একসাথে কাজ করত।
আলমগীর গত ১০ ডিসেম্বর দেশে আসার সময় উদয়ন বড়ুয়ার পরিবারের জন্য ১টি ল্যাপটপ, (মূল্য ৪০ হাজার টাকা) ১টি মোবাইল (মূল্য ৮০ হাজার টাকা) ও ১০ ভরি স্বর্ণ (মূল্য ১০ লক্ষ টাকা) ১০ প্যাকেট সিগারেট দেন।
আলমগীর দেশে আসলে প্রবাসী উদয়ন বড়ুয়ার পরিবারের লোকজন তার সাথে যোগাযোগ করলে নাম্বার বন্ধ পায়। তখন খোঁজ খবর নিয়ে গত ১২ ডিসেম্বর আলমগীরের বাড়িতে গেলে তাকে কোন জিনিসপত্র দেয়নি বলে জানিয়ে দেন। পরে জিনিসপত্র গুলোর ভাউচার দেখালে প্রবাসী উদয়ন বড়ুয়ার ভাগিনা পলাশ ধর ও তার সাথে থাকা দুই বন্ধুকে (মোঃ জিয়াউদ্দিন, মোঃ আব্দুল গফূর) অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করে এবং আবার তার বাড়িতে গেলে বিষ খেয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করবে বলে হুমকি দেন।
প্রবাসী উদয়ন বড়ুয়ার ভাগিনা পলাশ ধর জানান, আলমগীর ও আমার মামা দুবাই একসাথে কাজ করত। আলমগীর দেশে আসার সময় আমার মামা তাকে বিশ্বাস করে ১০ ভরি স্বর্ণ, মোবাইল ও ১টি ল্যাপটপ দেন পরিবারের জন্য। কিন্তু তিনি দেশে আসার পর থেকেই মোবাইল বন্ধ। আমি জিনিসপত্রের জন্য তার বাড়িতে গেলে আমাকে উল্টো বিষ খেয়ে মামলায় ফাঁসাবে বলে হুমকি দেয়।
পলাশ ধর আরও জানান, আমি শেষপর্যন্ত নিরুপায় হয়ে বাঁশখালী থানায় অভিযোগ দায়ের করি। অভিযোগ পাওয়ার পর বাঁশখালী থানার পুলিশ দুইবার তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে পায়নি। তিনি স্বণগুলো নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাকে খুঁজছে পুলিশ।
তিনি জানান, ইতিমধ্যে আমি সামাজিক (যোগাযোগ মাধ্যম) ফেসবুকে তাকে ধরিয়ে দিতে বিজ্ঞাপন দিয়েছি। তাকে ধরিয়ে দিতে পারলে ১ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আলমগীরের মোবাইল বন্ধ থাকায় তার সাথে যোগযোগ করা সম্ভব হয়নি।