নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের পেকুয়ার সিরাদিয়া জালিয়াখালী এলাকায় কৃষি জমিতে অধিক লোকসান হওয়ায় লবণ চাষ করে জীবকা নির্বাহ করছেন অনেকেই। তবে অনেক আগে থেকেই লবণ চাষ শুরু হয়েছে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের স্কুলঘোনা এলাকায়।
স্থানীয় বাসিন্ধা হাজী ইসঁহাক মিয়ার দাবি মতে দক্ষিণ অঞ্চলে স্কুল ঘোনা এলাকায় প্রথম লবণচাষ শুরু হয়েছিল। বর্তমান সরকারের আমলে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ হওয়ায় গভীর নলকুপের (এলটিবি সেচ) মাধ্যমে লবণ চাষ করা এখন আরো সহজ হয়ে পড়েছে। যার ফলে লবণচাষীরা অধিক লাভবান হচ্ছে।
অভিযোগ উঠেছে, স্কুল ঘোনা এলাকায় লবণ চাষের সুবিধার্থে স্থানীয় জিয়াবুল করিম পল্লী বিদ্যুতের পেকুয়া সাব জোনাল অফিসে গত ২৪/১২/২৩ তারিখে সংযোগের জন্য আবেদন করলেও পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা সংযোগ দিতে এখানো গড়িমসি করছেন। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারী) বিকেলে লবণচাষীরা সদরের স্কুলঘোনা এলাকায় মানববন্ধন করে এমন অভিযোগ করেন। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, স্কুলঘোনা এলাকার লবণচাষী জিয়াবুল করিম, মোহাম্মদ ইসমাইল ,আব্বাছ উদ্দিন, নুর হোসেন, মোহাম্মদ শফি, রিদুয়ানসহ আরো অনেকে। এসময় তারা অভিযোগ করেন, পেকুয়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম তাদেরকে এলটিবি সংযোগ দিতে গড়িমসি করছেন এবং সময় ক্ষেপণ করছেন যার ফলে একশো একর লবণ মাঠে তাদের বিশাল অংকের লোকসান হচ্ছে। লবণ চাষ ব্যাহত হচ্ছে।
লবণচাষী জিয়াবুল করিম বলেন, আমরা লবণ শিল্প বিকাশে কাজ করছি কিন্ত পেকুয়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা লবণ শিল্প বিকাশে বাঁধা দিচ্ছেন। তা না হলে তিনি দুইজন মানুষের অবৈধ সুবিধার জন্য আমাদের কয়েকশো মানুষকে কস্ট দিতে পারেন না। তিনি বলেন আমরা কেন নতুন সংযোগ পাচ্ছিনা ? এমনকি পুরাতন সংযোগও কর্মকর্তা কেটে দিয়েছেন যার কারেন আজ একশো একর লবণের চাষে বিশাল ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছি আমরা। শুধু তাই নয় এবিষয়ে দুষ্ট লোকের
ইন্ধনে উপজেলা প্রশাসনও লবণ চাষে তাদেরকে নিরুৎসাহিত করে আসছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। মানববন্ধনে পেকুয়া সদরের জালিয়াখালী ও স্কুল ঘোনা এলাকার স্থানীয় লবণচাষীরা
উপস্থিত ছিলেন।
এবিষয়ে পেকুয়া পল্লী বিদ্যুৎ সাব জোনাল অফিসের এজিএম দিপন চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আবেদন পেয়েছি স্থানীয় কয়েকজন বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ দিয়েছে তাই সংযোগ দেইনি। তিনি বিষয়টি সমাধান হলে অবশ্যই সংযোগ দিবেন বলে জানান।