রামু প্রতিনিধি:

রামুর লম্বরীপাড়ায় অসামাজিক ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ প্রতিরোধে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশে বক্তারা লম্বরীপাড়ায় লোকজনকে অপহরণ করে এনে টর্চার সেলে নির্যাতনের মাধ্যমে মুক্তিপণ আদায় এবং অপহরণকারী চক্রের সদস্য কর্তৃক রামুর ফকিরা বাজার এলাকায় নুরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা এবং অবিলম্বে এসব ঘটনা বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

বৃহত্তর লম্বরীপাড়া সমিতির উদ্যোগে মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারি রাত ৮ টায় লম্বরীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মিলনায়তনে আয়োজিত এ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ভূট্টো। তিনি বলেন- বাইরের লোকজনকে অপহরণ করে লম্বরীপাড়ায় টর্চার সেলে নির্যাতন করে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় এ গ্রামের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। গ্রামবাসীর ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের মুখে পুলিশ অভিযান চালিয়ে এসব চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করে নিয়মিত মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছে। ভবিষ্যতেও সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ করতে হবে। গ্রামের বাসিন্দারা অপরাধ না করলে বাইরের কেউ এখানে এসে অপরাধ করার সাহস পাবে না। তাই লম্বরীপাড়া গ্রামবাসীকে অপরাধমুক্ত থাকতে হবে। পাশাপাশি অপরাধ দমনে সবাইকে সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

বৃহত্তর লম্বরীপাড়া সমিতির সভাপতি মো. দিদারুল আলমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আলা উদ্দিনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- প্রবীণ সমাজসেবক মোহাম্মদ ইলিয়াছ, রামু প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সোয়েব সাঈদ, বৃহত্তর লম্বরীপাড়া সমিতির সহ সভাপতি মামুনুর রশীদ ও ফরিদুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেলিম উল্লাহ, অর্থ সম্পাদক হোসাইন মো. জনি, আবুল কালাম, মো. জুনাইদ, মিজান, জাকের হোসেন, এহছানুল হক মুন্না, নুরুল ইসলাম, ওমর ফারুখ, মো. সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

বৃহত্তর লম্বরীপাড়া সমিতির সভাপতি মো. দিদারুল আলম বলেন- টর্চার সেলে নির্যাতনে জড়িতদের স্বজনরা এখন বেপরোয়া হয়ে নিরীহ গ্রামবাসীকে হুমকী-ধমকি ও হামলা চালাচ্ছে। এ ধরনের অপকর্ম লম্বরীপাড়া সমিতির শত শত সদস্য আইনীভাবে প্রতিহত করার জন্য প্রস্তত রয়েছে। গুটিকয়েক সন্ত্রাসী, মাদকসেবীর জন্য পুরো গ্রামের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে দেওয়া যাবে না। অপরাধ দমনে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করেছেন।

সমাবেশের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন- হাফেজ মোহাম্মদ আরমান। সমাবেশে দেড় শতাধিক গ্রামবাসী স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।