দেলওয়ার হোসাইন,পেকুয়া ;
পৃথিবীর ভূমি পৃষ্ঠের প্রায় ৬ শতাংশ জুড়ে জলাভূমি রয়েছে এতে সমস্ত উদ্ভিদ এবং প্রাণী প্রজাতির ৪০ শতাংশ বাস করে তাতে বংশবৃদ্ধি করে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে সারা বিশ্বে এক বিলিয়নেরও বেশি মানুষ তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য জলাভূমির উপর নির্ভর করে । এটি পৃথিবীর আটজনের মধ্যে একজন। গ্রামীণ জনপদে একটি সময় মাটি আর পানি একাকার ছিলো। কালের বিবর্তনে অপরিকল্পিত উন্নয়নে ক্রমান্বয়ে তা বিলুপ্তির পথে।
“জলাভূমি এবং মানবকল্যাণ”এই প্রতিপাদ্যে বিশ্ব জলাভূমি দিবস পালন করলো পরিবেশবাদী সংগঠন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) ও আন্তর্জাতিক পরিবেশবাদী সংগঠন ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ।
শুক্রবার সকাল ১০ মহেশখালী চালিয়াতলি উপকূলীয় সাংবাদিক ফোরামের উপকূলীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সাংবাদিক মোহাম্মদ হোবাইব সজিবের সভাপতিত্বে ও পরিবেশকর্মী আলা উদ্দিন আলোর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন,ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ এর পেকুয়া প্রতিনিধি দেলওয়ার হোসাইন,সংবাদকর্মী ইমরান নাজির,আজিজুল হক আজু,মোহাম্মদ আলফাজ নূরী। এমসয় স্থানীয় জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বিকেলে জলমহালের ইজারা প্রথা বাতিল ও কৃষি জমি রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন করেছে মাতামুহুরী উপজেলার স্থানীয় জনসাধারণ। ধরিত্রী রক্ষায় আমরা(ধরা) , ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ ও ঢেমুশিয়ার সামাজিক সংগঠন ঢেমুশিয়া রক্ষায় আমরা এর যৌথ আয়োজনে মানববন্ধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মাতামুহুরি চকরিয়া উপজেলার প্রবহমান জলমহাল এলাকা ইলিশিয়া ঢেমুশিয়া সংযোগ ব্রিজের উপরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, চকরিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মকছুদুল হক চুট্ট,ঢেমুশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাঈন উদ্দিন চৌধুরী,সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আলম জিকু, এডভোকেট রবিউল এহছান লিটন,মোহাম্মদ ফোরকান,ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ এর পেকুয়া প্রতিনিধি দেলওয়ার হোসাইন,পরিবেশ কর্মী আলা উদ্দিন আলো,মোজাম্মেল হক মিয়াজী,শাহেদ হোসাইন,মুহাম্মদ মাহদী হাসান,সাহিদ হোসাইন,মুহাম্মাদ মুমিনুল ইসলাম
লোকমান,মোহাম্মদ হেফাজ উদ্দীন,মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন,সরকার মাতামুহুরির জলমহাল ইজার দিয়ে রাজস্ব পায় প্রতি বছরে ৩০ লাখ টাকা কিন্তু ইজারা বাতিল করে মিষ্টি পানি দিয়ে বুরো আমন চায় হলে কৃষকরা ফসল ফলন করবে ৩০ কোটি টাকা। অন্যদিকে সাধারণ মৎস্যজীবীরা এই জলমহাল থেকে মাছ আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করে কর্মসংস্থান হচ্ছে। এই ইজারা প্রথা বাতিল করে জনগণের জন্য এই জলমহাল উন্মুক্ত করে দেয়ার দাবি জানান।
বক্তারা আরও বলেন, সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমদ ইজারা প্রথা তুলে দিয়ে এই জলমহালকে উন্মুক্ত করে দিয়েছিল কিন্তু জনবান্ধব জনপ্রতিনিধি না থাকায় জনগণ এর সুবিধা ভোগ করতে পারছে না ।
বক্তারা বলেন,অবিলম্বে ইজারা প্রথা বাতিল করে কৃষিজমি রক্ষার দাবি জানান।