সিবিএন ডেস্ক:
নিজস্ব অর্থায়নে বাংলা‌দে‌শে ৯টি আইকনিক মসজিদ স্থাপন কর‌বে সৌদি সরকার। দে‌শের আট বিভাগে ৮টি আইকনিক মসজিদ নির্মাণের পাশাপাশি কেন্দ্রীয়ভাবে রাজধানী ঢাকার পূর্বাচলে বৃহৎ মসজিদটি নির্মাণ করা হ‌বে।

রাজধানী‌তে বৃহৎ এই মস‌জিদ নির্মা‌ণের জন‌্য প্রয়োজনীয় জায়গা বরাদ্দ দি‌তে তাৎক্ষণিকভাবে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হা‌সিনা।

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের সাথে স‌চিবাল‌য়ে তার অফিস কক্ষে অনু‌ষ্ঠিত দ্বিপা‌ক্ষিক সভায় সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসেফ ঈসা আল দুহাইলান বাংলাদেশে ৯টি আইকনিক মসজিদ স্থাপনে সম্মতি প্রদান করেছেন।

এ সভায় ধর্মমন্ত্রী বাংলাদেশে সৌদি সরকারের অর্থায়নে প্রস্তাবিত আইকনিক মসজিদ স্থাপনের বিষয়ে রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন।

তিনি জানান যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে মসজিদ নির্মাণের বিষয়ে আন্তরিক আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আইকনিক মসজিদ নির্মাণে সৌদি সরকারের আগ্রহের বিষয়টি খুবই ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন এবং তিনি সৌদি সরকারকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।

ধর্মমন্ত্রী সৌ‌দি রাষ্ট্রদূত‌কে জা‌নি‌য়ে‌ছেন, প্রধানমন্ত্রী ৮টি বিভাগে ৮টি আইকনিক মসজিদ নির্মাণের পাশাপাশি কেন্দ্রীয়ভাবে রাজধানী ঢাকাতে একটি সুবৃহৎ মসজিদ নির্মাণের বিষয়ে আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী তাৎক্ষণিকভাবে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে ঢাকার পূর্বাচলে প্রয়োজনীয় জায়গা বরাদ্দের জন্য আদেশ দিয়েছেন বলেও সৌ‌দি রাষ্ট্রদূত‌কে অব‌হিত ক‌রেন ধর্মমন্ত্রী।

সৌদি রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীর এ আকাঙ্ক্ষার কথা জেনে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশে ৯টি আইকনিক মসজিদ স্থাপনে সম্মতি প্রদান করেন।

পরে ধর্মমন্ত্রী সৌদি সরকারের অর্থায়নে প্রস্তাবিত এরাবিক ল্যাঙ্গুয়েজ ইনস্টিটিউট স্থাপনের বিষয়টি রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন।

তিনি জানান যে, ঢাকার বসিলায় ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিগ্রহণকৃত জায়গায় এরাবিক ল্যাঙ্গুয়েজ ইনস্টিটিউট স্থাপনের জন্য স্থান নির্বাচন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে নকশা তৈরি করা হয়েছে। তিনি রাষ্ট্রদূতকে নকশাটি দেখার অনুরোধ জানান। সৌদি রাষ্ট্রদূত মনোযোগ সহকারে নকশাটি দেখেন এবং তার পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন। তিনি এখানে খেলাধুলার জন্য স্পোর্টস সেন্টার রাখার ব্যাপারে গুরুত্ব আরোপ করেন।

এ বছর হজ প্রক্রিয়াকরণের বিষয়ে সৌদি রাষ্ট্রদূত সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, পূর্বে হজ এজেন্সিগুলো নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে সমস্যা ছিলো। এ ছাড়া, মধ্যস্বত্বভোগীরা হজযাত্রীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করত। কিন্তু হজ প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজড করার ফলে আমরা পুরো প্রক্রিয়াটিকেই খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি। এর ফলে হজযাত্রীদের কষ্ট অনেকাংশে কমেছে।

সভায় ধর্ম সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার ও অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মু. আ. আউয়াল হাওলাদারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।