বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় মিয়ানমারের একটি সামরিক হেলিকপ্টার ভূপাতিত করেছে বিদ্রোহীরা। বুধবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরাকান আর্মি (এএ) জানিয়েছে, চীন রাজ্যের পালেতোয়া শহরে সংঘর্ষের সময় হেলিকপ্টারটি ভূপাতিত করা হয়। বিদ্রোহী এ গোষ্ঠীটি এমন দাবি করার পর হেলিকপ্টারটির ছবিও প্রকাশ করেছে।
আরাকান আর্মির মুখপাত্র খাইং তুখা ইরাবতীকে বলেন, আমরা পালেতোয়ায় যুদ্ধ চলাকালে একটি সামরিক হেলিকপ্টার গুলি করে ভূপাতিত করেছি। হেলিকপ্টারটি পিআই পর্বতমালায় জান্তার সামরিক ঘাঁটির কাছাকাছি গভীর বনে পড়েছে। কানখা পাহাড়ে গত ১৩ জানুয়ারি ঘাঁটিটি দখলের পর হেলিকপ্টারটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছি।
সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, পালতোয়া শহরের উত্তরাঞ্চলের এ দুই পর্বতমালা বাংলাদেশ মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত। আরাকান আর্মি এ এলাকাটি দুই মাসের সংঘর্ষের পর জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে দখলে নেয়।
এর আগে গতকাল রাখাইন রাজ্যের একটি শহরের তিনটি সামরিক ঘাঁটি দখলে নেওয়ার দাবি করে আরাকান আর্মি। মিয়ানমারের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম নারিনজারা নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রাখাইন রাজ্যের মিনবায়ার তিনটি ঘাঁটিই আরাকান আর্মি দখলে নিয়েছে। এ সময় সেখানকার অনেক সেনা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা আত্মসমর্পণ করেছে।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, আত্মসমর্পণ করা এ লোকের সংখ্যা ৫০০-এর বেশি। তাদের মধ্যে ডিভিশন কমান্ডার, নন কমিশন অফিসারসহ মিনবায়ার জান্তার বিভিন্ন স্তরের বিভাগীয় প্রধানরা রয়েছেন। আত্মসমর্পণ করা ব্যক্তিদের মধ্যে সেনাদের পরিবারসহ অন্তত ১০০ জন আহত ব্যক্তি রয়েছেন।
সূত্র জানিয়েছে, গতকাল থেকে তাদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে একজন ডিভিশন কমান্ডারসহ অন্তত ১০০ আহত সেনা রয়েছেন। তবে সেনাদের কারও অবস্থা গুরুতর নয়। তারা সকলে আরাকান আর্মির কাছে আত্মসমর্পণ করেছে।