বাঁশখালী প্রতিনিধি: মরহুম মাস্টার নজির আহমদ পরিবার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করে দক্ষিণ বাঁশখালীকে নিয়ে গেছেন এক অন্যান্য উচ্চতায়। মাস্টার নজির আহমদ ডিগ্রি কলেজ, মাস্টার নজির আহমদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আম্বিয়া খাতুন মহিলা দাখিল মাদরাসা সহ বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করে এই পরিবার দক্ষিণ বাঁশখালীতে আলোর মশাল জ্বালিয়ে দিয়েছেন। এবার পুঁইছড়ির অভিভাবকত্বের দায়িত্ব নিয়ে রাস্তাঘাটের চিত্র পাল্টে দিতে চান মাস্টার নজির আহমদের কনিষ্ঠ পুত্র তারেকুর রহমান।
জানা যায়, বাঁশখালীতে জমিদার অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে পরিচিত পুঁইছড়ি ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নে স্বাধীনতার পর থেকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে আসছেন একটি জমিদার পরিবার থেকে। ৩য় কোন পক্ষ এই ইউনিয়নের ক্ষমতাভার পায়নি। এবার সেই ইতিহাস ভেঙে নতুন ইতিহাস গড়তে চান দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা মরহুম মাস্টার নজির আহমদের কনিষ্ঠ পুত্র তারেকুর রহমান। পুঁইছড়ির আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে দিতে চান উন্নয়নের আলো।
জঙ্গল নাপোড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তারেকুর রহমানের শিক্ষাজীবন শুরু হয়। সেখান থেকে ভর্তি হন কাজেম আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে। কাজেম আলী স্কুলে মেট্রিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি ঢাকা সিদ্ধেশ্বরী কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে এইচএসসি পাস করে উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য লন্ডন চলে যান লন্ডনে। বাঁশখালীকে বিশ্ব দরবারে পরিচিত করতে নিজ গ্রামে প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘নাপোড়া অট্গানিক ইকো ভিলেজ।’
এদিকে আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার লক্ষ্যে শুক্রবার (৩রা ডিসেম্বর) পুঁইছড়ি ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের হারুনের দোকান এলাকায় তারেক রহমানের পরিচিত সভার আয়োজন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন পুঁইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী মাস্টার নজির আহমদের কনিষ্ঠ পুত্র তারেকুর রহমান, মো. মনির, রফিকুল হাসান, মাস্টার গিয়াস উদ্দিন ও হাজী দলিলুর রহমান প্রমুখ।
এসময় তারেকুর রহমান বলেন, ‘আমি কিছু বলার চেয়ে করে দেখাতে বেশি পছন্দ করি। যখনই করবো, তখন দেখবেন। আমি আপনাদের সবার দোয়া চাই।’
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।
