এবারের নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ছাড়াই বিজয়ী হয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরা।
শনিবার(১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঘোষিত ফলে দেখা যাচ্ছে, এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসনে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। যাদের প্রায় সবাই পিটিআইয়ের সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে লড়েছেন।
এদিকে প্রায় ১০ মাস ধরে কারাগারে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। নির্বাচনের ঠিক কয়েকদিন আগেই তড়িঘড়ি করে একের পর এক মামলায় দেওয়া হয়েছে সাজা। কেড়ে নেওয়া হয়েছে দলের প্রতীক। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে দাঁড়ালেও প্রচার–প্রচারণায় ছিল নানা প্রতিবন্ধকতা। তবে প্রত্যাশার অভূতপূর্ব প্রতিদান দিয়েছেন পাকিস্তানের জনগণ।
জেলে বসেই নির্বাচনে বাজিমাত করায় ইমরান খানকে প্রশংসায় ভাসাচ্ছে বিশ্ব মিডিয়া। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা বলছে, ইমরান খানের পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে। এখন পর্যন্ত পাওয়া ফলাফলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৯৭টি, নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন ৭১টি এবং বিলওয়াল ভুট্টোর পিপিপি ৫২টি আসনে জয়লাভ করেছে।
এদিকে সিএনএন বলছে, এটি হতবাক করা ফলাফল, কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মিত্ররা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেই পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে বেশিরভাগ আসনে জয়লাভ করেছে। যেখানে ইমরান খানের পিটিআই থেকে নওয়াজের পিএমএল-এন এবং পিপিপি অনেক পেছনে।
এদিকে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং নওয়াজ শরিফ দুজনেই নিজেদেরকে নির্বাচনে জয়ী ঘোষণা করেছেন। তবে নির্বাচনে পিটিআই সমর্থিতরা স্বতন্ত্রভাবেই পেছনে ফেলেছে সবাইকে।
মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ জানিয়েছে, কারাগারে বসেই ইমরান খানের তেহরিক-ই ইনসাফ পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরা বেশিরভাগ আসনে জয়লাভ করেছে। এদিকে পাকিস্তানের নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ইইউ। দেশগুলো পাকিস্তানের এই নির্বাচনের তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।
এদিকে ভোটের দুদিন পার হলেও এখনো সব আসনের ফল ঘোষণা করতে পারেনি পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। ২৬৫ আসনের মধ্যে ২৫২টি আসনের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত ফলে নওয়াজ শরিফ ও বিলাওয়াল ভুট্টোর দলের চেয়ে বেশ ভালো ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তাদের অধিকাংশই ইমরান খানের পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী।
জিও নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২৬৫ আসনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৫২টি আসনের ফল ঘোষণা করেছে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ১০৬টি আসন। তাদের মধ্যে ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত প্রার্থী ৯৭ জন। অন্যদিকে নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন পেয়েছে ৭২টি আসন এবং বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপি পেয়েছে ৫২টি আসন।