জালাল আহমদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক সুস্থতা নিশ্চিত এবং স্বাস্থ্যের বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন এবং ঢাবির ছাত্র নির্দেশনা ও পরামর্শ দপ্তরের যৌথ আয়োজনে ‘ওয়েলনেস ফেস্টিভ্যাল’ অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু অনুষ্ঠানের মূল 'টার্গেট অডিয়েন্স'
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল একেবারেই কম ! ফলে হতাশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং অতিথিরা।
আজ শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছর উপলক্ষ্যে বছরব্যাপী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই ফেস্টিভ্যাল আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও রাস্তায় জ্যামে আটকে থাকার কারণে তিনি উপস্থিত হতে পারেননি বলে জানান কর্তৃপক্ষ।
ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল প্রধান অতিথি হিসেবে এই ফেস্টিভ্যাল-এর উদ্বোধন করেন।
এতে সভাপ্রধান ছিলেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী (পারভেজ)।
ঢাকা আহছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের সিনিয়র সাইকোলজিস্ট এবং অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য রাখী গাঙ্গুলী অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মোল্লা মোহাম্মাদ আবু কাওছার, টিএসসি ছাত্র নির্দেশনা ও পরামর্শ দান কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. মেহজাবীন হক, মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সেলিম হোসাইন প্রমুখ।
সকাল দশটা থেকে শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠান শেষ হয় রাত আটটার দিকে। সকালে স্বেচ্ছাসেবকরা নাস্তা পেলেও শিক্ষার্থীরা নাস্তা পানি। ফলে যে কয়েকজন শিক্ষার্থী এসেছিল, তারাও ক্ষুব্ধ হয়ে চলে যায়।
দুপুরে অধ্যাপক ডক্টর মেহজাবীন হকের বক্তব্য চলাকালে কিছু শিক্ষার্থী উপস্থিত হয়। দুপুরে লাঞ্চের সময় হওয়ায় অনুষ্ঠানস্থলে লাঞ্চের ব্যবস্থা না থাকায় তারাও চলে যায়।
বিষয়টি নিয়ে অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওচার এর মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক সেলিম হোসাইনসহ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের দায়ী করেন।
অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী (পারভেজ) জানান, "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আমাদের সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করতে ঢাবির ছাত্র নির্দেশনা ও পরামর্শ দফতরের সাথে সমন্বয় করে আমরা এটা আয়োজন করেছি। সকালে শুধু মাত্র স্বেচ্ছাসেবীদের জন্য নাস্তার ব্যবস্থা ছিল। শিক্ষার্থীদের জন্য নয়। প্রচারণার বিষয়টি তাদেরই দায়িত্ব ছিল। আমরা সহযোগিতা করেছি মাত্র"।
টিএসসি ছাত্র নির্দেশনা ও পরামর্শ দান কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. মেহজাবীন হক জানান, " অনুষ্ঠান সফল করতে প্রচুর পরিমাণ শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রেশন করেছেন। তারা টিএসসিতে এসে বাইরে বিভিন্ন স্টলে ঘোরাঘুরি করেছেন ।কিন্তু অনুষ্ঠান স্থলে আসেন নি"।