আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন প্রখ্যাত আলেম, বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরিনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও মুফাসসিরে কোরআন আল্লামা লুৎফর রহমান ব্রেনস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বর্তমানে তিনি রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালে অধ্যাপক ডা. আব্দুল হাইয়ের তত্ত্বাবধানে আছেন।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) উনার ছোট ছেলে আবু সালমান মোহাম্মদ আম্মার জানান, তার অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি এখনো জ্ঞান ফিরেনি।
তিনি বলেন, বিভিন্ন পরীক্ষা নিরক্ষা শেষে চিকিৎসক জানিয়েছেন- ব্রেইনে মেজর স্ট্রোক হয়েছে। বর্তমানে বাম পাশ প্যারালাইজড। ডাক্তাররা নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন। খুব কাছের আত্মীয়স্বজন ছাড়া আমরা কাউকে ভিতরে যেতে দিচ্ছি না। অনেকেই আসতে চাচ্ছেন দেখা করতে চাচ্ছেন।
তিনি অনুরোধ করে বলেন, কেউ কষ্ট করে হাসপাতালে আসবেন না। তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে সকলকে জানানো হবে।
এদিকে মাওলানা লুৎফুর রহমানকে দেখতে আজ সকালে হাসপাতালে আসেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামির ভারপ্রাপ্ত আমির সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। এ ছাড়াও আলেমরা-ওলামারা অনেকেই জড়ো হচ্ছেন হাসপাতালে।
ভোর ৪টায় মাওলানা লুৎফুর রহমানকে দেখতে হাসপাতালে আসেন ইসলামিক বক্তা ফখরুদ্দীন আহমেদ। তিনি তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন- মহফিল থেকে ফেরার পথে বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরীনের সম্মানিত কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা লুৎফর রহমানকে (হাফে) হাসপাতালে দেখতে গেলাম। হুজুরের হুঁশ ফিরে আসেনি। অনেকবার সালাম দিলাম। হুজুরের কোনো সাড়াশব্দ নেই। খুব বেশি পরিমাণে ডান হাত নাড়াচ্ছেন। ব্রেনের বেশ কিছু অংশে ক্ষত হয়েছে কিন্তু রক্তক্ষরণ হয়নি। এ অবস্থায় কয়েকদিন অবজারভেশনে রাখা হবে।
এর আগে বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল পৌনে ১০টায় লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার নিজ বাড়িতে তিনি ব্রেনস্ট্রোক করেন মাওলানা লুৎফুর রহমান। সাথে সাথে বাড়ির লোকজন তাকে লক্ষ্মীপুর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান তিনি ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আনা হয়।
প্রখ্যাত এ আলেমে আল্লামা লুৎফর রহমান একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ইসলামি বক্তা। একজন স্বনামধন্য বক্তা হিসাবে দেশে ও বিদেশে তার অনেক পরিচিতি রয়েছে।
ব্যক্তিজীবনে মাওলানা লুৎফর রহমান ৫ কন্যা ও ২ ছেলের জনক। পরিবারের পক্ষ থেকে আল্লামা লুৎফর রহমানের জন্য দোয়া চেয়েছেন।
আল্লামা লুৎফর রহমান কর্মজীবনে রাজখালি আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হিসেবে অত্যন্ত সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করেন। পাশাপাশি সামাজিক উন্নয়ন অগ্রগতিতে সর্বদা নিজেকে উৎসর্গ করেন। তিনি ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর রামগঞ্জ নির্বাচনী এলাকার প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন।