আবু সায়েম , কক্সবাজার:
কক্সবাজারে কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের আওতাধীন কলাতলী বিটের উদ্যোগে কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের সহযোগিতায় ৫ ডিসেম্বর (রোববার) “বন্য প্রাণী প্রকৃতির অংশ,আমরা প্রকৃতিকে বাঁচাবো আগামী প্রজন্মের জন্য “এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে “মানুষ – হাতি সংঘাত” নিরসন শীর্ষক বন্যপ্রাণী সংরক্ষন,সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য এবং বনজসম্পদ রক্ষাকল্পে জনসচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বনকর্মকর্তা মোঃ সারওয়ার আলমের নির্দেশে শহর রেঞ্জ কর্মকর্তা ও স্পেশাল টিমের ওসি সমীর রঞ্জন সাহার সভাপতিত্বে কলাতলী বিট কার্যালয়ে জনসচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় শহর রেঞ্জের দেড় শতাধিক নারী পুরুষ,স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিবর্গ বনবিভাগের ফরেস্টার,বিটকর্মকর্তা হ্যাডম্যানসহ ভিলেজারগন উপস্থিত ছিলেন।
জনসচেতনতামূলক সভায় বক্তারা “বন্য প্রাণী প্রকৃতির অংশ, আমরা প্রকৃতিকে বাঁচাবো আগামী প্রজন্মের জন্য “এ প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে
মানুষ হাতি সংঘাত নিরসন এবং বন্য প্রাণী সংরক্ষণে এলাকাবাসী কে এগিয়ে আসার আহ্বান করেন।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে শহর রেঞ্জ কর্মকর্তা ও স্পেশাল টিমের ওসি সমীর রঞ্জন সাহা বলেন, বন্যপ্রাণী ও বন্যহাতি সংরক্ষণ আমাদের নৈতিক দায়িত্ব । নির্বিচারে বন্য প্রাণী হত্যা, ধরা এবং শিকার করা যাবে না ।
বন্য হাতিদের আঘাত করে নিধন করলে প্রকৃতির ভারসাম্যে বিরাট প্রভাব ফেলবে।
তিনি আরো বলেন, সামাজিকভাবে সচেতন হয়ে আমাদের মানুষ ও হাতি সংঘাত নিরসন করে বন্য প্রাণী ও হাতিদের বাঁচাতে এগিয়ে এসে বন সম্পদ রক্ষার্থে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। বন্যহাতি লোকালয়ে চলে আসলে তিনি বন বিভাগকে অবগত করার অনুরোধ জানান। তবুও যেন হাতিকে আক্রমণ করা না হয়। বন্যহাতি কর্তৃক কারো প্রাণহানি ঘটলে অথবা কারো ফসল নষ্ট করলে বনবিভাগের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা আছে।
উক্ত জনসচেতনতামূলক সভায় বিট কর্মকর্তা,কলাতলী বিট এবং ন্যাকম এর ডিপিডি ডঃ মোঃ শফিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।