মোহাম্মদ হোসেন,হাটহাজারী:
কোভিড-১৯ মহামারিতে সবচেয়ে ঝুঁকিতে প্রসূতিরা। নিয়মিত চেকআপ ও সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রে বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। কারণ নানা সংকট ও অজুহাতে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে সেবা মেলে খুবই কম। গত ১ বছরে করোনাকালেও প্রসূতি সেবায় রেকর্ড করেছে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। হাসপাতালের চেয়ে বেশি সংখ্যক প্রসূূতি মাতৃসেবা ও স্বাভাবিক সন্তান প্রসব (নরমাল ডেলিভারি) হয়েছে এই উপজেলা হাসপাতালে। যা অবিশ্বাস্য সাফল্যও বটে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতায় এ সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছে। ডাঃ সোহানিয়া আক্তার বিল্লাহ তত্ত্বাবধানে হাসপাতালে প্রসূতি ডেলিভারি কাজ গুলো তদারকি ও করা হয়।

হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে,চলতি বছরের শেষের দিকে প্রায় ১১ শত ভ্যাজাইনাল ডেলিভারি (এনভিডি) হয়েছে। ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বও প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ হাজার ১০০ জন প্রসূতি মায়ের ডেলিভারি হয়েছে। তবে সিজারিয়ান চেয়েও নরমাল ডেলিভারী সংখ্যা অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন আবাসিক মেডিকের অফিসার ডাঃ সোহানিয়া আকতার বিল্লাহ। তিনি হাসপাতালের বাইরে রিকস নিয়ে গাড়িতে ।

মেডিকেল অফিসার (গাইনী) ডাঃ হাছিনা বেগম এ প্রতিবেদককে বলেন,করোনাকালিন সময়ে জীবনের রিকস নিয়ে হাসপাতালে প্রসুতি মায়ে ডেলিভারী করতে হয়েছে। এখানে সাময়িক অজ্ঞানকারী (অ্যানেসথেসিয়া) একজন বিশেষজ্ঞ ও একজন অ্যানেসথেটিস্টের পদ থাকলেও তখন কোনো পদায়ন ছিল না। পার্শ্ববর্তী ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে অ্যানেসথেসিয়া এনে ডেলিভারি কাজ সম্পর্ন্ন করতে হয়েছে। তিনি বলেন,একজন মেডিকেল অফিসারকে অ্যানেসথেসিয়ার প্রশিক্ষণ দিয়ে আমাদের প্রসূতি ওয়ার্ড চালাতে হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ইমতিয়াজ হোসাইন বলেন, গত তিন বছর করোনা সংকটেও এই হাসপাতালের অনেক উদারমনা মানবিক চিকিৎসক এলাকার সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা সেবায় এগিয়ে এসেছে। এলাকার জনগননের ও সার্বিক সহযোগিতা ছিল। করোনাকালিন সময়ে সিজারিন এর দায়িত্বে ছিলেন আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ হাছিনা। হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা উন্নত হাওয়ায় পার্শ্ববর্তী উপজেলা ফটিকছড়ি ও রাউজান উপজেলার বেশি ভাগ রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন এই হাসপাতালে।স্বাভাবিক স্বাস্থ্যসেবায় বিঘ্ন ঘটলেও চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফরা তাদের সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে চলেছেন।