লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় এক ইউপি সদস্যকে আটক করে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেওয়ায় মারধরের অভিযোগ উঠেছে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আবু সাঈদ মুরাদ (৩৮) এর বিরুদ্ধে। এতে আদিতমারী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন আহত ইউপি সদস্য।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আদিতমারী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা সদরের বুড়িরবাজার নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ইউপি সদস্য মহেশ্বর বর্মন (৪৮) উপজেলার ভাদাই ইউনিয়নের আরাজি দেওডোবা গ্রামের কান্দুরা কান্ত বর্মনের ছেলে এবং উপজেলার ভাদাই ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের দু’বারের নির্বাচিত সদস্য।
অভিযুক্ত আবু সাঈদ মুরাদ (৩৮) উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা যুবলীগের সভাপতি পদপ্রত্যাশী। সে একই ইউনিয়নের রেলস্টেশন এলাকার মৃত আবুল হাশেমের ছেলে। এ ছাড়াও মুরাদ সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রীর অনুসারী হিসেবেও এলাকায় পরিচিত।
দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে ইউপি সদস্য মহেশ্বর বর্মন উপজেলা সদরের বুড়িরবাজারে একটি সেলুন থেকে সেভ করে বের হন। এ সময় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মুরাদ স্থানীয় যুবলীগ কর্মী মোস্তাক জামান পিপলুকে সঙ্গে নিয়ে ওই ইউপি সদস্যের পথরোধ করে মোটরসাইকেলের চাবি কেড়ে নেন। চাবি চাইতে গেলে তারা দুজন ইউপি সদস্যের নিকট ৪০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা দুজন মিলে তাকে কিলঘুষি মারেন।
পরে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে এলে তারা দুজন সটকে পরেন। পরে ওই দিন রাতেই ইউপি সদস্য মহেশ্বর বর্মন বাদী হয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আবু সাঈদ মুরাদ ও যুবলীগ কর্মী মোস্তাক জামান পিপলুর নাম উল্লেখ করে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।
এ দিকে প্রকাশ্যে একজন ইউপি সদস্যকে কিলঘুষি মেরে চাঁদা দাবি করায় ফুঁসে উঠেছেন উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ইউপি সদস্যরা। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের নিকট দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় রাজপথে নামারও হুমকি দিয়েছেন ইউপি সদস্যরা।
কমলাবাড়ী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আব্দুর রহমান জানান, প্রকাশ্যে দিনে দুপুরে স্থানীয় সরকারের একজন প্রতিনিধিকে আটক করে চাঁদা দাবি করে কিলঘুষি মারা একটি ন্যক্কারজনক ঘটনা। তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। অন্যথায় রাজপথে নেমে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আবু সাঈদ মুরাদ বলেন, গত সংসদ নির্বাচনের সময় ওই ইউপি সদস্যের সঙ্গে একটু ঝামেলা হয়েছিল। ওই ঘটনার জের ধরে হালকা ধস্তাধস্তি হয়েছে মাত্র।
আদিতমারী থানার ওসি মাহমুদ উন নবী অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।