শেফাইল উদ্দিন :
কক্সবাজারের ঈদগাও উপজেলায় এক হেডম্যানের বিরুদ্ধে কৃষকের ধান কেটে নিয়ে যেতে বাঁধা দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে । মোটা অংকের চাদাদাবী করছে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগী।এ দিকে বৃষ্টির পানিতে প্রায় ১২ হেক্টর জমির পাকা কাঁটা ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে । এ ঘটনায় এলাকার লোকজনের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে ।
রবিবার (৫ ডিসেম্বর) উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের গজালিয়া রাজঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে ।
জানা যায়,, ইসলামাবাদ রাজঘাট এলাকার মৃত আবু তাহেরের ছেলে দিন মুজুর মোঃ সেলিম বিভিন্ন এনজিও সংস্থা ও লোকজনের কাছ থেকে প্রায় ৮ লক্ষ টাকা লোন করে রাজঘাট বিটের হেডম্যান ফিরোজসহ ৬ জন থেকে ২ বছরের জন্য চুক্তি করে রাজ ঘাট খাইস্সা ঘোনার ১২ হেক্টর জমি নেয় চাষাবাদের জন্য । ১২ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করে কৃষক সেলিম।ফলন ও ভালো হয়। সাপ্তাহব্যাপীপাকা ধান কাটা শুরু করে কৃষক সেলিম । এ সময় গত ৫ ডিসেম্বর ধান কাটা শেষে জমি থেকে গাড়ি যোগে ধান নিয়ে যাওয়ার সময় আর নিয়ে যেতে দিচ্ছে না হেডম্যান ফিরোজ। ।প্রকাশ্যে বাঁধা দিচ্ছে এবং গাড়ি ফিরিয়ে দিচ্ছে। অন্যদিকে গতকাল থেকে শুরু হলো বৃষ্টি । বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সমস্ত পাকা ধান । ধানের পাশে বসে কাঁদছে কৃষক পরিবার। এ ব্যাপারে কৃষক সেলিমের সাথে কথা হলে জানান, সমস্ত পাকা ধান কাটা শেষে নিয়ে যাওয়ার সময় রাজঘাট বনবিটের হেডম্যান ফিরোজ তার দলবল নিয়ে আমাকে ধান নিয়ে যেতে বাধা দেয়। মোটা অংকের চাদাদাবী করছে এবং ভিলেজার সিরাজ ও মোবাইলে হুমকি দিচ্ছে। অন্যদিকে বৃষ্টির পানিতে আমার সমস্ত ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমি বিভিন্ন এনজিও সংস্থা থেকে লোন নিয়ে এ চাষাবাদ করছি এখন আমার স্বপরিবারে মরে যাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি । অভিযোগে উঠা হেডম্যান ফিরোজের সাথে কথা হলে জানান,আমি রাজঘাট বিট কর্মকর্তার সাথে কথা বলে ধান গুলো নিয়ে যেতে বলছিলাম যেহেতু বনবিভাগের জায়গার উপর দিয়ে গাড়ি যাবে। বিট কর্মকর্তা আলা উদ্দিনের সাথে কথা হলে জানান, বনবিভাগের পাহাড় না কেটে গাড়ি নিয়ে ধান নিয়ে যেতে পারবে, আমার কোন অসুবিধা নেই। স্থানীয় লোকজন জানান, ঐখানে পাহাড় কাটার কথা আসবে কেন রাস্তা দিয়েই ধান নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়ি নিয়ে গিয়েছিল । আসলে চাঁদাবাজি করতেছে এরা । এ ব্যাপারে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের কর্মকর্তা তৈহিদুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বিষয়টি দেখা হচ্ছে বলে জানান। এলাকাবাসী এ ঘটনায় বনবিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।