এইচ এম রুহুল কাদের:
তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে মাদ্রাসার দুই আলেমকে বেদম প্রহার করলো এক বেপরোয়া ইউপি মেম্বার। ২১ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টায় চকরিয়া উপজেলার পূর্ববড় ভেওলা গ্রামে ঘটে এ ঘটনা। ঘটনার পর ফুঁপিয়ে কান্না করা ছাড়া কোন উপায় ছিল না ওই দুই আলেমের। এ ঘটনায় সাধারণ লোকজনের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করলেও প্রভাবশালী হওয়ায় ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে কেউ ব্যবস্থা নিতে পারেনি।
মারধরের শিকার মাওলানা মুস্তাক সিকদারপাড়া ইসলামীয়া তালিমুল কুরআন মাদ্রাসা ও হেফজখানার সহকারী শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট মসজিদের খতিব। অপর জন হলেন মাওলানা আলমগীর। তিনি সিকদার পাড়া ইসলামিয়া তালিমুল কোরআন মাদ্রাসা ও হেফজখানা প্রধান বলে জানা গেছে।
মাওলানা আলমগীর জানান, ২১ ফেব্রুয়ারি মাদ্রাসার মাহফিল চলছিল। সন্ধ্যায় চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী মাহফিলে অংশ গ্রহণ করেছেন, খাবারের আয়োজন ছিল, আয়োজনের চেয়ে মানুষের উপস্থিতি বেশি হওয়ায় খাবারের একটু কম পড়ে। মাওলানা আলমগীর আরও বলেন- এই অজুহাত নিয়ে স্থানীয় ৩নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার কফিলউদ্দিন আমি ও শিক্ষক মাওলানা মুস্তাককে আকস্মিক বেদম প্রহার করে। অশ্রাব্য ভাষায় গালমন্দ করে। ভুক্তভোগী মাওলানা মুস্তাক অভিযোগ করেন, মাহফিলে খাবারের আয়োজন ছিল, আয়োজনের চেয়ে লোকজন বেশি ছিল। তাই খাবার কম হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে আমারা দুজনকে মারধর করে, যা এলাকার লোকজন দেখেছেন, তিনি বলেন- আমরা বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের জানিয়েছি। আমরা এর প্রতিকার চাই।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একব্যক্তি বলেন- মেম্বার কফিল বেপরোয়া, রাজনৈতিক প্রভাবকে পুঁজি করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর এলাকার সাধারণ লোকজনের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। এলাকাবাসী জানান, কফিল মেম্বার রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকায় কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেনা। অপরাধ যা করেছে তা অমার্জনীয়। সচেতন লোকজন এঘটনার যথাযথ আইনগত প্রতিকার দাবি করেন।