সিবিএন ডেস্ক:
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে একটি সুগার মিলে (চিনির কারখানা) লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
ফায়ার সার্ভিসের কেন্দ্রীয় মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম জানান, সোমবার (৪ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে পুরোপুরি নির্বাপণ হয়নি।
আগুন নির্বাপণ করতে ভোর পর্যন্ত লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের (চট্টগ্রাম) উপ-পরিচালক দিনমনি শর্মা।
তিনি বলেন, অপরিশোধিত চিনিগুলো দাহ্য পদার্থ হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয়েছে। অন্য গোডাউনে যাতে আগুন ছড়িয়ে না পড়ে সেটি নিয়ে আমরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছি।
এদিকে কর্ণফুলীর ইছানগরের মিলটি পরিদর্শনে করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর তদন্ত সাপেক্ষে কারও গাফিলতি থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাত ৯টার দিকে বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ তোফায়েল ইসলাম ও জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানান। তারা সাংবাদিকদের বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে সোমবার বিকেল ৪টার দিকে ওই মিলে আগুনের সূত্রপাত হয়। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (রাত ১১টা ৫০ মিনিট) আগুন জ্বলছিল।
ফায়ার সার্ভিসের ১৮ ইউনিট, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, সেনাবাহিনী ও কোস্ট গার্ড সদস্যদের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
ওই মিলের কর্মকর্তারা বলছেন, চিনির মিলের ছয়টি গোডাউনের মধ্যে একটিতে আগুনের সূত্রপাত হয়। সেখানে আমদানি করা এক লাখ টন অপরিশোধিত চিনি রাখা ছিল। অন্য গোডাউনে আগুন ছড়িয়ে পড়লে আরও ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তারা।
মিলটির গোডাউনে রাখা অপরিশোধিত চিনিগুলো জ্বললেও এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
আগুনের সূত্রপাত নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষে থেকে কিছু না জানালেও বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করছে মিলের কর্মচারীরা।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অগ্নিকাণ্ডের পরপরই আগুনের লেলিহান শিখা ও ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে চিনি কারখানার গোডাউন। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রাণপণ চেষ্টা চালান। আগুনের লেলিহান শিখায় আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ কন্ট্রোল রুম সূত্র জানায়, বিকেল ৪টার দিকে কর্ণফুলী থানার ইছানগর এলাকার চিনি মিলটির গোডাউনে আগুন লাগে। খবর পেয়ে কর্ণফুলী ও আনোয়ারা ফায়ার স্টেশন আগুন নেভাতে কাজ করছে।
পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয় নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী ও কোস্ট গার্ড। এ ছাড়া ঘটনাস্থলে আছে সেনাবাহিনীর একটি দল।