নিজস্ব প্রতিবেদক:
সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে 'সুযোগ' বুঝে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সরকার সমর্থক আইনজীবীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক।
বুধবার (৬ মার্চ) সকাল দশটা ২০ মিনিটে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় বিকেল পাঁচটা ২০ মিনিটে।
বিকেলে ঢাকা বারের সাবেক লাইব্রেরি বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোঃ আতাউর রহমান খান রুকু এর বিরুদ্ধে তিন নাম্বার কক্ষে অবৈধভাবে ঢুকে ৩ টি জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগ করেন বিএনপি সমর্থিত এক আইনজীবী। বিএনপি এবং জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেলের এডভোকেট দিপ্তী এ সময় এডভোকেট মোঃ আতাউর রহমান খান রুকু কে বাধা দিলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।নির্বাচন পরিচালনা সাব কমিটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং সিনিয়র এডভোকেট আবুল খায়ের 'নীরব' ভূমিকা পালন করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে ঢাকা বারের সাবেক লাইব্রেরি বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আতাউর রহমান খান রুকু এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি এবং জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কে বিতর্কিত করার অভিযোগ করেন।৮ নাম্বার বুথে ভোট দিয়ে ৩ নাম্বার বুথে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, "বিএনপির কেউ জাল ভোট দিচ্ছে কিনা তা যাচাই করতে গিয়েছিলাম"।
তিনি 'উল্টো' বিএনপির আইনজীবী এডভোকেট ফয়সালের বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানোর অভিযোগ করেন।
ঢাকা আইনজীবী সমিতির বিগত কয়েকটি নির্বাচনেও এডভোকেট মোঃ আতাউর রহমান খান রুকুর বিরুদ্ধে ভোট ডাকাতির অভিযোগ করেছেন কয়েকজন আইনজীবী।
জাল ভোটের অভিযোগ নিয়ে উত্তেজনা:
আজকে প্রথম দফা ভোট গ্রহণ শেষে সাব কমিটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের এর কাছে সন্ধ্যায় সুপ্রিমকোর্ট কোর্ট অডিটোরিয়ামে
জাল ভোটের বিষয়ে অভিযোগ করেছেন বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী এবং বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।এই খবর পেয়ে ৬ টা ২১ মিনিটে অডিটোরিয়ামে ঢুকেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী এডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক।এ সময় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীম উদ্দিন হল ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ শাহেদ খান সহ একঝাঁক নেতাকর্মী প্রবেশ করেন।এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
অভিযোগ এবং পালটা অভিযোগের বিষয়ে নির্বাচন পরিচালনায় নিয়োজিত সাব কমিটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের এর সাথে জাল ভোটের দেওয়ার ক্ষেত্রে নীরব থাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেন," এই ধরনের নির্বাচনে অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগ থাকবে। তবে প্রমাণ ছাড়াই কেউ অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব নয়"।