হ্যাপী করিম, মহেশখালী:
পবিত্র রমজান ও আসন্ন ঈদুল ফিতরে দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার নাগালের মধ্যে রাখার জন্য মহেশখালীতে বাজার মনিটরিংয়ে নেমেছেন উপজেলা প্রশাসনের তদারকি টিম।
১৩ ই মার্চ (বুধবার) বিকালে পৌরসভার এলাকায় বাজার মনিটরিং করা হয়। মনিটরিংয়ে আরো অংশ নেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মীকি মারমা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাজবীর হোসেন, পুলিশ ও আনসার সদস্য প্রমুখ।
অভিযানে মাছ, মাংস (মুরগি, গরু, খাসি) ভোজ্য তেল, চিনি, খেজুর, চাউল, সকল প্রকার সবজি, মসলাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম হাতের নাগালে রাখতে তদারকি করা হয় ও যাচাই করা হয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মূল্য তালিকা প্রদর্শিত আছে কি না, ক্রয়-বিক্রয় ভাউচার মজুত আছে কি না এবং পণ্য সরবরাহ পরিস্থিতি কেমন আছে, তদারকি করা হয়। দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য এবং রমজান মাসে কেউ যাতে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে, সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে অনুরোধ করা হয়। ক্রেতা সাধারণের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়। তবে এ অভিযানে পৌরসভার গোরকঘাটা বাজারে নিম্ন মানের বিভিন্ন ফল বিক্রয় এর অপরাধে খোকন বৈদ্যকে ৫ হাজার, নেপাল ফুড এর মালিক স্বপনকে ১৫ হাজার টাকা- পাশের মুদির দোকানদারকে ২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে। গতকাল কালারমারছড়া বাজারে বিভিন্ন দোকানে ১৭ হাজার জরিমানা করা হয়েছিল।
বাজারে স্বাভাবিক চলাচল এবং ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে যারা অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রি করবে এবং শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজ করবে, তাদের বিরুদ্ধে প্রথম রমজান থেকেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাজবীর হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আজকের মনিটরিংয়ে ব্যবসায়ীদের সতর্ক ও জরিমানা আদায় এবং সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হয়েছে। মাংসের বাজারসহ কয়েকটি নিত্যপণ্যের দোকানে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে দরকষাকষি চলছে। সেসব দোকানের পণ্যের দাম যাচাই করেছি। পুরো রম