আব্দুস সালাম, টেকনাফ:
টেকনাফের আমতলী এবং গোদারবিল এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে ৩০ হাজার ৫০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে র্যাব-১৫ এর সদস্যরা। এসময় চার মাদক কারবারিকে আটক করা হয়।
আটককৃত মাদক কারবারিরা হলেন,টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড গোদারবিল (ছিদ্দিকের বাড়ি) এলাকার মোহাম্মদ ছিদ্দিকের ছেলে মোহাম্মদ আবদুল্লাহ(২৬)। উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ১০ নম্বর ক্যাম্পের, ব্লক-এইচ/৩১ এর বাসিন্দা মৃত ফজল আহাম্মদের ছেলে রোহিঙ্গা মো. শাকের(৩০), একই ক্যাম্পের একই ব্লকের বাসিন্দা মৃত জাফর আলমের ছেলে মো. সৈয়দ নুর(২৭) ও মো. অলি হোসেনের ছেলে মো. ইউনুছ(৩০)।
কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওnসিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া) মো. আবু সালাম চৌধুরী গণমাধ্যমকে এসব নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, শুক্রবার (২২ মার্চ) টেকনাফ সদর ইউনিয়নের পূর্ব গোদারবিল এলাকার ছিদ্দিকের পশ্চিমমুখী ৪ রুম বিশিষ্ট সেমিপাকা ঘরে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী মাদকদ্রব্য বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৫, টেকনাফ ক্যাম্পের আভিযানিক দল উক্ত স্থানে উপস্থিত হলে র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে অন্ধকারে ৩/৪ জন ব্যক্তি কৌশলে দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে তাদের একজনকে আটক করতে সক্ষম হয় এবং আরও ২/৩ জন্য ব্যক্তি রাতের অন্ধকারে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত ব্যক্তির দেহ এবং বসতঘর তল্লাশি করে মোট ২০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া অন্যদিকে একইদিনে আরেকটি অভিযানে র্যাব-১৫, হোয়াইক্যং ক্যাম্পের আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে,টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির পূর্বে তেচ্ছিব্রীজ বাজারের মেসার্স জয়নাল অটো ওয়ার্কশপ নামক দোকানের সামনে পাকা রাস্তার উপর কতিপয় মাদক কারবারি মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে উক্ত এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনাকালে র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে তিনজন ব্যক্তি দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে তাদেরকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত ব্যক্তিদের দেখানো মতে ১০ হাজার ৫০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত তিনজন মাদক কারবারিরা নিজেদেরকে রোহিঙ্গা নাগরিক বলে দাবি করলেও এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কোন নথিপত্র আভিযানিক দলের নিকট প্রদর্শন করতে পারেনি।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আটককৃত মাদক কারবারিরা দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত। তারা পরস্পর যোগসাজশে অবৈধভাবে পার্শ্ববর্তী সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ইয়াবা সংগ্রহপূর্বক নিজেদের হেফাজতে মজুদ করে থাকে। পরবর্তীতে মজুদকৃত ইয়াবা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেফতার এড়াতে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে অত্যন্ত কৌশলে স্থানীয় এলাকাসহ কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে থাকে।
তিনি আরো জানান,উদ্ধারকৃত ইয়াবাসহ আটককৃত ও পলাতক মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।