পাহাড়ের সশস্ত্র দল কেএনএফের সন্ত্রাসীদের হাতে অপহৃত সোনালী ব্যাংকের বান্দরবানের রুমা শাখার ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে।
অপহরণের শিকার ম্যানেজার সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আফজাল করিম।
বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘রুমার ব্রাঞ্চ ম্যানেজার সুস্থ আছেন; তার সাথে কথা হয়েছে।’
মঙ্গলবার রাত রাত নয়টার দিকে ৭০ থেকে ৮০ জনের একটি সশস্ত্র দল সোনালী ব্যাংকের রুমা শাখায় হামলা চালায়।
সন্ত্রাসীরা ব্যাংকের পাহারায় থাকা পুলিশ ও আনসারদের আটটি চায়নিজ রাইফেল, দুটি এসএমজি, চারটি শটগান ও ৪১৫ট রাউন্ড গুলি ছিনিয়ে নেয়।
এরপর কাছের মসজিদেই প্রবেশ করে কেএনএফে সন্ত্রাসীরা। সেখান থেকে তারাবির নামাজে থাকা ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
এরপর বুধবার দুপুরে থানচি উপজেলায় সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের দুটি শাখায় হামলা চালিয়ে ডাকাতি করে সন্ত্রাসীরা।
সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে গুলি চালাতে চালাতে ব্যাংক দুটির শাখায় প্রবেশ করে। সেখান থেকে নগদ টাকা, ব্যাংকে কর্মরতদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় তারা।
পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সন্ত্রাসীরা নিজেদের অবস্থান জানান দিতেই এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে সরকারি দুই ব্যাংকের তিন শাখায় সন্ত্রাসী হামলা ও লুটপাটের পর আতঙ্ক বেড়েছে স্থানীয় মানুষদের। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না তারা।
নিরাপত্তা জোরদারে জেলার সাত উপজেলার ব্যাংকের শাখাগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত হন পুলিশের দুই সদস্যসহ তিনজন। বুধবার রুমায় যান পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মুজাহিদ উদ্দিন বলেছেন, ম্যানেজারকে উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
- একাত্তর