মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :
কক্সবাজারের কৃতিসন্তান মোহাম্মদ শফিউল আরিফ (৬৫৫০) সরকারের অতিরিক্ত সচিব হিসাবে পদোন্নতি লাভ করেছেন। সোমবার (২২ এপ্রিল) জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের উর্ধ্বতন নিয়োগ-১ অধিশাখার উপসচিব মোঃ আলমগীর কবির স্বাক্ষরিত ১৭৯ নম্বর স্মারকে জারীকৃত এক প্রজ্ঞাপনে মোহাম্মদ শফিউল আরিফ সহ একইসাথে ১২৭ জন কর্মকর্তাকে সরকারের যুগ্ন সচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। মোহাম্মদ শফিউল আরিফ পদোন্নতি পাওয়ার আগ পর্যন্ত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে যুগ্ম সচিব হিসাবে কর্মরত ছিলেন।
কক্সবাজার পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ রুমালিয়ার ছরাস্থ এবিসি ঘোনার মরহুম আলহাজ্ব আবু তাহের কুতুবী ও মর্জিয়া বেগম দম্পতির দ্বিতীয় পুত্র মোহাম্মদ শফিউল আরিফ প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে সম্মানসহ ১৯তম ব্যাচে ১৯৯৫ সালে কৃতিত্বের সাথে মাষ্টার্স করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া শেষ হতেই মোহাম্মদ শফিউল আরিফ দেশের অভিজাত ও মর্যাদাপূর্ণ ক্যাডার হিসাবে পরিচিত ১৯৯৯ সালে ১৮ তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বিসিএস (প্রশাসন) এ যোগ দেন।
সরকরি চাকুরীর শুরুতেই চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনে সহকারী কমিশনার হিসাবে তিনি দায়িত্বপালন করেন। এরপর চৌদ্দগ্রাম ও লাকসামে সহকারি কমিশনার (ভূমি) হিসাবে সফলতার সাথে কাজ করেছেন। পটিয়া, মহালছড়ি, কাপ্তাই এর ইউএনও, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারি সচিব এবং ফেনী জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, ফেনী জেলার ডিডিএলজি, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আইন কর্মকর্তা, স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের উপসচিব ও ২০১৭ সালের ৯ আগষ্ট থেকে ২০১৯ সালের ১০ জুন পর্যন্ত লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক এবং ২০১৯ সালের ১১জুন থেকে যশোরের জেলা প্রশাসক হিসাবে তিনি দায়িত্ব পালনকালে ২০২০ সালের ৫ জুন সরকারের যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি পান। যুগ্ম সচিব হিসাবে তিনি প্রথমে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালনকালে মোহাম্মদ শফিউল আরিফ সোমবার সরকারের অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি লাভ করেন।
মোহাম্মদ শফিউল আরিফ জনপ্রশাসন বিষয়ে লন্ডনের বিখ্যাত ব্রুনেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্লোবালাইজেশন এন্ড গভর্নেন্সের উপর স্নাতকোত্তর ডিগ্রীও অর্জন করেছেন কৃতিত্বের সাথে। মোহাম্মদ শফিউল আরিফ দক্ষ প্রশাসক ও জনবান্ধব কর্মকর্তা হিসাবে সরকারি-বেসরকারি পুরস্কার পেয়েছেন অনেক। অনেক জাতীয় ও আন্তজার্তিক মানের প্রশিক্ষণ ও সেমিনারে অংশ নিয়েছেন দেশে ও বিদেশে। একজন সৎ, দক্ষ ও পেশাদার কর্মকর্তা হিসাবে কক্সবাজারের গৌরব মোহাম্মদ শফিউল আরিফের সুনাম রয়েছে জন প্রশাসনের সর্বত্র।
২০০৫ সালের ১০ নভেম্বর কক্সবাজারের শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও অনেক সামাজিক, ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সফল প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব ওমর সুলতান ও হোসনে আরার জ্যেষ্ঠ কন্যা শাহীন আক্তারের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মোহাম্মদ শফিউল আরিফ। তাদের একমাত্র পুত্র সন্তান সাদমান আরিফ সিয়াম এবছর ঢাকাস্থ বিয়াম ল্যাবর্যটরী স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে এখন ফলপ্রার্থী।
কক্সবাজারবাসীর গর্বের ধন মোহাম্মদ শফিউল আরিফ সরকারের অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি পাওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে শোকরিয়া এবং সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আজকের এদিনে তাঁর প্রয়াত পিতা মরহুম আবু তাহের কুতুবীকে বেশি বেশি মনে পড়ছে। তিনি জীবিত থাকলে কত যে খুশি হতেন, তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছিনা। মোহাম্মদ শফিউল আরিফ তাঁর অসুস্থ মাতার সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন। এছাড়া তিনি তাঁর কর্মজীবনে সার্বিক সাফল্য ও পরিবারের সকল সদস্যের জন্য সকলের দোয়া, আশীর্বাদ ও সহযোগিতা কামনা করেছেন।