পেকুয়া প্রতিনিধি:
দ্বিতীয় ধাপের অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পেকুয়ায় অপরাজিত জয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন শাফায়েত আজিজ রাজু। তিনি এর আগেও টানা দুই বার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি দলীয় সিদ্ধান্তে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেননি।
শাফায়েত আজিজ রাজু ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২২হাজার ৯ শত ৬১ ভোট তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রোমানা আক্তার আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৮ হাজার ১ শত ৮৭ ভোট। উপজেলা আওয়ামী লীগের আবুল কাশেম মটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬হাজার ৬ শত ৭৩ ভোট,আশরাফুল সজীব দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬ হাজার ১ শত ৬৯ ভোট। আশরাফুল ইসলাম সজিবকে সমর্থন করে সরে দাঁড়ানো এস এম গিয়াস উদ্দিন টেলিফোন প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪শত ৮৯ ভোট।
ভাইস-চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন তালা প্রতীক নিয়ে মাহাবুল করিম। তার প্রাপ্ত ভোট ২০৭৯। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী টিউবওয়েল প্রতীকের আজিজুল হক পেয়েছেন ১৫ হাজার ০৫২ ভোট,মাইক প্রতীক নিয়ে নাছির উদ্দিন পেয়েছেন,১০ হাজার ৫ শত ৫৪ ভোট,চশমা প্রতীক নিয়ে মমতাজুল ইসলাম পেয়েছেন ৬ হাজার ৭ শত ২৬ ভোট ও উড়োজাহাজ প্রতীক নিয়ে শাহাব উদ্দিন পেয়েছেন ১ হাজার ৯ শত ৭০ ভোট।
মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন কলস প্রতীক নিয়ে ইয়াছমিন সোলতানা। তার প্রাপ্ত ভোট ৩৬ হাজার ৮ শত ৩২। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাঁস প্রতীক নিয়ে আজমীর নুরে জন্নাত পেয়েছেন ৮ হাজার ৮০ ভোট, প্রজাপতি নিয়ে রাজিয়া সোলতানা পেয়েছেন ৫ হাজার ৬ শত ৯৬, উম্মে কুলসুম মিনু পেয়েছেন ৩ হাজার ৭ শত ৫৯ ভোট।
নবনির্বাচিত পেকুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু বলেন, এবারের নির্বাচনে বিএনপি দলীয় সিদ্ধান্ত মতে নির্বাচন বর্জন করলেও জনগণের চাপে আমি প্রার্থী হয়েছি এবং আল্লাহর রহমতে বিজয়ী হয়েছি। পেকুয়াকে একটি সন্ত্রাস ও শান্তির নগরী গড়ে তুলতে পেকুয়াবাসীর সহযোগিতা কামনা করছি।
পেকুয়া উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, পেকুয়ায় মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছেন। দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বাচন অত্যান্ত সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।