আব্দুস সালাম, টেকনাফ
কক্সবাজারের টেকনাফের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী পিতা ও পুত্রের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত প্রায় ৭ কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে দুটি পৃথক মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল জামাল হোসাইনের বিরুদ্ধে দুদক কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন এবং ছেলে শাহ আজমের বিরুদ্ধে উপসহকারী পরিচালক পার্থ চন্দ্র পাল বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।
জামাল হোসাইন টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার সে রঙ্গিখালী গ্রামের মৃত হায়দার আলীর ছেলে।
জানা গেছে, মাদক ব্যবসার মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত জামাল হোসাইন ২ কোটি ৪৫ লাখ ৫২ হাজার ৮৮৪ টাকা এবং শাহ আজম ৪ কোটি ১৮ লাখ ৮৫ হাজার ৭৯০ টাকার সম্পদ ভোগ দখলে রাখার অভিযোগে এ মামলা দুটি হয়েছে।
এবং দুদক থেকে তাদের নামে জারি করা সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ গ্রহণের পরও সম্পদ বিবরণী দাখিল না করে এবং জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে পিতা ও পুত্র প্রায় ৭ কোটি টাকার সম্পদ ভোগদখলে রাখার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
এর কারণে তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় মামলা দুটি করা হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে জামাল মেম্বার ও তার ছেলে শাহ আজম মাদক ব্যবসা করে আসছেন। তাদের মাদক ব্যবসা ধরে রাখতে ও আধিপত্য টিকিয়ে রাখতে বিশাল একটি সশস্ত্র গ্রুপ তৈরি করে রাখছেন।
এ গ্রুপ ব্যবহার করে অস্ত্রের পাহারায় মিয়ানমার থেকে টেকনাফে মাদকের চালান নিয়ে আসেন। শাহ আজমের বিরুদ্ধে মাদক-অস্ত্র ও মানিল্ডারিং সহ ২১ টি মামলা রয়েছে। এবং তার পিতা জামাল হোসাইন মেম্বারের বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্রসহ ১১টি মামলা রয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, দুদক যাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে জামাল হোসাইন মেম্বার ও শাহ আজমের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম ও টেকনাফ থানায় ৩২টি মামলা রয়েছে।
খবর পড়ুন
ঈদগাঁওতে ৩ ঘন্টার আগুনে ছাই ৪২ দোকান, আহত ৩
৪০ বছরের রেকর্ড ভাঙ্গা ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো ইতালি
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।