এম.এ আজিজ রাসেল:
কক্সবাজার জেলায় ৬ হাজার ৩৩২ জন মানুষ ৬৩৮ টি কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। রবিবার বিকাল ৬ টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান। তিনি বলেন, 'আশ্রয় নেয়া মানুষের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে অধিকাংশ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে অনীহা জানাচ্ছে। এখনো অনেকেই অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছে।
বিকাল ৫ টার দিকে কক্সবাজার পৌরসভার পৌর প্রিপ্যার্যাটরি উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ১ নং ওয়ার্ডের সমিতি পাড়া, কুতুবদিয়া পাড়া, নাজিরারটেক ও ফদনার ডেইল এলাকার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটে আসছে। তাঁদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা বেশি। অনেকেই গবাদিপশুও নিয়ে এসেছেন। অনেকেই অভিযোগ করেছেন, বেলা ১২ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত কারও কপালে খাবার জুটেনি।
তবে কক্সবাজার পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র সালাউদ্দিন সেতু বলেন, 'কক্সবাজার পৌরসভা ২৩ টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছে। সেখানে ৬ হাজার মানুষের জন্য রাতের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।'
কক্সবাজারের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. আবদুল হান্নান বলেন, 'সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ২০ মি. মি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে রাত ৮ টার পর বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।'
তিনি আরও বলেন, 'ঘূর্ণিঝড় 'রেমাল' ইতোমধ্যে উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানতে শুরু করেছে। তবে কক্সবাজারের তুলনায় এটি পটুয়াখালী, বরিশাল, খুলনা উপকূলে আঘাত হানবে বেশি।'