বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ঘূর্ণিঝড় রেমাল গতকাল রবিবার(২৬ মে) সন্ধ্যায় দেশের উপকূলে ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১২০ কি.মি. গতিবেগে আঘাত হেনেছে। এ সময় সাতক্ষীরা ও পটুয়াখালীতে একজন করে মোট দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।

ঝড়ের প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারে উপকূলজুড়ে বিস্তীর্ণ নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। অনেক জায়গায় বাঁধ ভেঙে গেছে এবং বিধ্বস্ত হয়েছে বেশ কিছু ঘরবাড়ি। মছের ঘের ভেসে যাওয়াসহ বেশ সম্পদহানির আশঙ্কাও করা হচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড়টি পুরোপুরি স্থলভাগ অতিক্রম করে যেতে দীর্ঘ সময় নেওয়ার আভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। এ কারণে এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরসহ উপকূলীয় ৯ জেলায় ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত বহাল রেখেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর এবং উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রামসহ সাত জেলায় ৯ নম্বর মহাবিপৎসংকেত বহাল ছিল। উপকূলীয় ১৬ জেলার নদীবন্দরে ছিল ৪ নম্বর নৌ বিপৎসংকেত।

‘প্রবল ঘূর্ণিঝড়’ রিমালের কেন্দ্রের অংশটি গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাগেরহাটের মোংলার দক্ষিণ-পশ্চিম দিক দিয়ে পটুয়াখালীর খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম শুরু করে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক গতকাল রাত সাড়ে ১২টায় বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের সামনের অংশটি উপকূল স্পর্শ করতে শুরু করেছিল সন্ধ্যার দিকে। ঘূর্ণিঝড়টির স্থলভাগ সম্পূর্ণ অতিক্রম করতে পাঁচ থেকে সাত ঘণ্টা লাগবে। রবিবার মধ্যরাত বা সোমবার ভোররাত নাগাদ তা সম্পন্ন হতে পারে।

  • কালের কণ্ঠ