সিবিএন ডেস্ক:
আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগীদের কর্মকাণ্ডের মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে ডাটাবেজ প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ডাটাবেজে উন্নয়ন সহযোগীদের বর্তমান কর্মকাণ্ড এবং ভবিষ্যতে কোন কোন ক্ষেত্রে কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করে তা উল্লেখ থাকবে। কাজের ডুপ্লিকেশন বা ওভারল্যাপিং পরিহার করে সফলতা বাড়াতে থিমেটিক এরিয়ার ভিত্তিতে ওয়ার্কিং গ্রুপ তৈরি করা হবে। বাংলাদেশ ক্লাইমেট ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপের কাজকর্ম সমন্বয় করার জন্য অবিলম্বে একটি বিশেষ কর্মশালার আয়োজন করা হবে।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বাংলাদেশ সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সচিব ড. ফারহিনা আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত লোকাল কনসাল্টেটিভ গ্রুপ (এলসিজি), ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট (সিসিই) এর ওয়ার্কিং গ্রুপের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় বাংলাদেশ ক্লাইমেট ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ ও এলসিজির ওয়ার্কিং গ্রুপের গৃহীত কার্যক্রমগুলোর দ্বৈততা পরিহার করে দেশের সীমিত সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার করার লক্ষ্যে একযোগে কাজের বিষয়ে আলোচনা হয়। ভবিষ্যতে এলসিজি গ্রুপ বিসিডিপি বোর্ডকে সব কাজে সর্বাত্মক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বলেন, কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক সম্মেলনসহ বিভিন্ন কাজে আমাদের উন্নয়ন সহযোগীদের তাৎক্ষণিক সহযোগিতা প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ও সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশনের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। উন্নয়ন সহযোগীরা এবং সরকার একযোগে কাজ করলে আমরা অনেক কাজেই সফল হতে পারবো।

সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. মোশাররফ হোসেন, অতিরিক্ত সচিব (পদূনি) তপন কুমার বিশ্বাস, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানম, এলসিজির নবনির্বাচিত সহ-সভাপতি এবং সুইডেন দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি এবং ডেপুটি হেড অব কো-অপারেশন নায়োকা মার্টিনেজ ব্যাকস্ট্রমসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং ইইউ, ইউএন উমেন, আইওএম, এডিবি, ইউএসএআইডি, ইউনিসেফ, ইউএনসিডিএফ, জাইকা, জিআইজেড এবং ইউএস, ডেনিশ, সুইডেন অ্যাম্বাসিসহ ৩৩টি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।