চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী-আনোয়ারায় অবস্থিত কোরিয়ান রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ (কেইপিজেড) এলাকায় পোশাক কারখানার জুট ব্যবসা নিয়ে প্রভাবশালী দুই গ্রুপে মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কেইপিজেডে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
বুধবার (৫ জুন) বিকেলে দুই উপজেলার গিয়াস উদ্দিন ও নাজিম উদ্দিন এর লোকজনের মধ্যে দুই দফায় এই ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আনোয়ারা উপজেলা থেকে মোটর সাইকেলে সজ্জিত হয়ে নাজিম উদ্দিন গ্রুপ লোকজন নিয়ে কেইপিজেডে এ প্রবেশ করে দীর্ঘদিন কোরিয়ান রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকার পোশাক কারখানায় জুট ব্যবসায়ীর মালামাল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন।
বিষয়টি জানাজানি হলে কেইপিজেডের অভ্যন্তরে থাকা শিল্প পুলিশের আইসি মো. জসিম উদ্দিন ও বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির একদল পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনেন।
জানা যায়, ২০১৩ সাল থেকে কেইপিজেডে জুটের ব্যবসা করেন একটি গ্রুপ। কিন্তু কয়েক বছর আগে এক সাবেক মন্ত্রীর এপিএস প্রভাব কাটিয়ে ব্যবসাটি হাত বদল করে অন্য জনের হাতে তুলে দেন। বর্তমান সেই এপি এস কোণঠাসা হওয়ায় ব্যবসা হারানো গ্রুপটি আবারো সক্রিয় হয়ে ওঠে। এতে উভয় পক্ষের মাঝে কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কেইপিজেড এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম উত্তেজনা ও আতঙ্ক বিরাজ করেছে।
মুঠোফোনে কল করে জানতে চাইলে গিয়াস উদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমি জুট ব্যবসা করতেছি। কিন্তু এখন আরেক গ্রুপ এসে সমস্যা করতেছে। অথচ পোশাক কারখানার সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে জুটের ব্যবসা করে আসছি।' এরচেয়ে বেশি কিছু বলতে আগ্রহী নন তিনি।
স্থানীয় লোকজন জানান, 'ক্ষমতা পরিবর্তন হওয়ায় হঠাৎ করে আরেক গ্রুপ এসে কারখানার সামনে এসে জুট ছিনিয়ে নিতে চাইলে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া হয়।'
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির আইসি এসআই মো. মিজানুর রহমান বলেন, 'কেইপিজেডের ভেতরে জুট ব্যবসা নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে কয়েক দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা হয়। শিল্প পুলিশ ও সিএমপি পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলে সবাই পালিয়ে যায়। কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।'
এ প্রসঙ্গে কেইপিজেডের এজিএম মুশফিকুর রহমান বলেন,' এ ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছে বলে খবর পেয়েছি। আমরা সাথে সাথে স্থানীয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও কেইপিজেডে থাকা শিল্প পুলিশকে জানিয়েছি। শিল্প প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হয় এমন কিছু করা যাবে না। এ রকম হলে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেবো।'