সিবিএন ডেস্ক:
চলতি বছর যেসব এজেন্সি হজযাত্রীদের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলেছে বা ভোগান্তিতে ফেলেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
হজ পালনে সৌদি আরবে যাওয়ার আগে শনিবার সকাল ৯টায় আশকোনা হজ ক্যাম্পে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছিলেন তিনি।
অব্যবস্থাপনার অভিযোগে বিভিন্ন সময়ে কয়েকটি ট্রাভেল এজেন্সির নিবন্ধন বাতিল করার পরও এখনও যেসব এজেন্সি ভোগান্তি কারণ হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেবেন- এমন প্রশ্নে ধর্মমন্ত্রী বলেন, “এবার হজ ব্যবস্থাপনায় আমরা কিন্তু কোনো ভোগান্তি পাইনি। যখন ভোগান্তির কথা বলা হচ্ছে- তখন বাংলাদেশের ৮৫ শতাংশ ভিসা সম্পন্ন হয়ে গেছে।
“এদিকে ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া তাদের ভিসা সম্পন্ন হওয়ার হার ছিল যথাক্রমে ৪৯ শতাংশ, ৫১ শতাংশ ৫৯ শতাংশ। কিন্তু বাংলাদেশের হার ছিল ৬০ শতাংশ। অন্যান্য দেশের ভিসা বন্ধ হলেও বাংলাদেশের হজ যাত্রীদের ভিসা এক সেকেন্ডের জন্য বন্ধ হয়নি।”
“তবে, হজ ব্যবস্থাপনায় যেসব এজেন্সি ও ব্যাংক হজযাত্রীদের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার চেষ্টা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যার অপরাধ যতটুকু, তার ততটুকু শাস্তি হবে,” বলেন মন্ত্রী।
এবছর উড়োজাহাজ ভাড়ার অর্থছাড় নিয়ে জটিলতায় পড়েছেন ৬৮২ জন হজযাত্রী।
মন্ত্রণালয় থেকে কয়েকদফা চিঠি দেওয়ার ১৩ কোটি ২৮ লাখ ৫৩ হাজার ৬০০ টাকার মধ্যে ৩১৮ জনের বিপরীতে ৬ কোটি ১৯ লাখ ৪৬ হাজার ৪০০ টাকা স্থানান্তর করেছে ব্যাংকটি। ফলে তাদের ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা কেটেছে।
কবেনাগাদ ট্রাভেল এজেন্সি ও ব্যাংকের ভোগান্তি থেকে মুক্ত হয়েহজযাত্রীরা নির্বিঘ্নে হজ পালনে যেতে পারবেন, জানতে চাইলে ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেন, “এবার হজ ব্যবস্থাপনায় ব্যাংকের মাধ্যমে হজযাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়ার যে অভিযোগ উঠেছে, সেটি সঠিক ছিল।
“গতবছর দুই জায়গাতে সমস্যা হয়েছিল, আমরা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তা সমাধান করেছিলাম। এবার দুটি ব্যাংক ছিল। শেষের দিকে এসে একটি ব্যাংকে প্রবলেম (সমস্যা) হওয়া সত্যেও আমরা একদিনের মধ্যে তা সমাধান করেছি।”
এ পর্যন্ত ৭০ হাজার হজযাত্রী ইতোমধ্যে মক্কায় পৌঁছেছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বাকি ১৫ হাজার হজযাত্রী আগামী ১২ জুনের মধ্যে পৌঁছে যাবেন।
“আমরা আজ হজ ব্যবস্থাপনা পরিদর্শনে যাচ্ছি। হজ পালনে যাচ্ছি। এর জন্য দেশবাসির কাছে দোয়া চাই।”
এ বছর হজ অনুষ্ঠিত হবে ১৫ জুন।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের শুক্রবার রাতের সর্বশেষ বুলেটিনে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে ১৭৯টি ফ্লাইটের মাধ্যমে সর্বমোট ৬৯ হাজার ৯৫৪ জন হজযাত্রী সৌদি আবর জেদ্দা পৌঁছেছেন৷
এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৫৫০ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬৫ হাজার ৪০৪ জন হজযাত্রী সেখানে গেছেন।