বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকার একটি ধর্ষণ মামলায় বরগুনার তালতলী উপজেলার এ বি এম জাকারিয়া নামের এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবরা (৯ জুন) গভীর রাতে আমতলী পৌর শহরের এ কে স্কুল এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে সোমবার দুপুরে ঢাকা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ সোপর্দ করা হলে বিচারক শাহরিয়ার কবির তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তারকৃত শিক্ষক এ বি এম জাকারিয়া উপজেলার কচুপাত্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তিনি উপজেলার হুলাটানা গ্রামের সেকান্দার আলী হাওলাদারের ছেলে।
তথ্যসূত্রে জানা গেছে, শিক্ষক এ বি এম জাকারিয়া ঢাকার বারডেম হাসপাতালে এক সেবিকাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এতে সেবিকা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে যায়। এরপর জোরপূর্বক ওষুধ খাইয়ে ওই অন্তঃসত্ত্বা নারীর গর্ভের ভ্রূণ হত্যা করে। এরপর ওই সেবিকার সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে গত ১৯ মে ওই সেবিকা ঢাকা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এ এ বি এম জাকারিয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক শাহরিয়ার কবির মামলাটি আমলে নিয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসিকে এজাহার হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দেন। আদালতের আদেশ মতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করেন।
রোববার রাতে কেরানীগঞ্জ থানার এসআই মো. মিজানুর রহমান ও আমতলী থানা এসআই আশরাফ মিয়ার নেতৃত্বে যৌথ অভিযান চালিয়ে এ বি এম জাকারিয়াকে আমতলী পৌর শহরের একে স্কুল এলাকার একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার দুপুরে পুলিশ জাকারিয়াকে ঢাকা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ করেছেন।
ভোক্তভোগী সেবিকা বলেন, এ বি এম জাকারিয়া বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমাকে বেশ কয়েকবার ধর্ষণ করেছে। এতে আমি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে যাই। পরে আমাকে জোর করে ওষুধ খাইয়ে ভ্রূণ হত্যা করেছে। এরপর থেকে আমার সঙ্গে সব যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। আমি লম্পট এ বি এম জাকারিয়ার শাস্তি দাবি করছি।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার এসআই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমতলী থানা পুলিশের সহায়তায় একটি ধর্ষণ মামলার আসামি এ বি এম জাকারিয়াকে আমতলী পৌর শহরের একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।