হাজিদের তাদের কণ্ঠে উচ্চারিত হচ্ছে, ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হাম্দা ওয়ান নি’মাতা লাকা ওয়াল মুল্ক, লা শারিকা লাক’ যার অর্থ—হে আল্লাহ, আমি হাজির আছি, আমি হাজির আছি। আপনার কোনো শরিক নেই, আমি হাজির আছি। নিশ্চয় সকল প্রশংসা ও নেয়ামত আপনারই এবং সমগ্র বিশ্ব জাহান আপনার। আপনার কোনো শরিক নেই।
শুক্রবার (১৪ জুন) শুরু হয়েছে হজের আনুষ্ঠানিকতা। চলতি বছর হজের উদ্দেশে ১৫ লাখ মুসল্লি মক্কায় উপস্থিত হয়েছেন। যদিও সৌদি কর্তৃপক্ষ এই সংখ্যা ২০ লাখ ছড়িয়ে যাবে বলে আশা করেছিল। আরব নিউজের প্রতিবেদনে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এদিকে, বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয় বুধবার রাতের হজযাত্রার সবশেষ বুলেটিনে দেয়। সেই তথ্যানুযায়ী, হজযাত্রার সব পূর্ব নির্ধারিত ফ্লাইট সৌদি আরব গেছে; যেগুলোতে বাংলাদেশ থেকে হজে গেছেন ৮৫ হাজার ১২৯ জন। এসব হজযাত্রীদের নিয়ে যেতে বিমান বাংলাদেশ ১০৬টি, সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স ৭৫টি এবং ফ্লাইনাস ৩৭টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। এসব হজযাত্রীদের মধ্যে গত বুধবার পর্যন্ত ১৭ জন ইন্তেকাল করেছেন। এরমধ্যে ১৫ জন পুরুষ ও দুজন নারী। এদের মধ্যে মক্কায় ১৩ জন এবং মদিনায় চারজন ইন্তেকাল করেন।
আরব নিউজ বলছে, অধিকৃত গাজার ফিলিস্তিনিরা এ বছর হজের জন্য মক্কায় যেতে পারেনি, কারণ গত মে মাসে মিশরের সীমান্তবর্তী দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফার দিকে ইসরায়েলি সৈন্য অগ্রসর হলে রাফাহ ক্রসিং বন্ধ করে দেওয়া হয়। যদিও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অধিকৃত পশ্চিম তীর থেকে চার হাজার ২০০ হজযাত্রী হজ করতে মক্কায় পৌঁছেছেন। আর সৌদি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে , এবার হজে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদের আমন্ত্রণে গাজা যুদ্ধে হতাহত ফিলিস্তিনিদের এক হাজার পরিবারও হজ করতে এসেছে, যাদের অধিকাংশই রাফাহ বন্ধের আগে মিশরে পৌঁছেছিল।