সিবিএন ডেস্ক:
পবিত্র ঈদুল আজহার টানা সরকারি ছুটিতে পর্যটক বরণে প্রস্তুতি নিয়েছে কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল ও পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। একই সঙ্গে পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও জেলা প্রশাসন। এরই মধ্যে বিশেষ ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছে কিছু কিছু হোটেল-মোটেল-গেস্ট হাউজ। শুরু হয়েছে অগ্রিম বুকিংও।
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। বালুকাময় এই সমুদ্র সৈকত দেখতে লাখ লাখ পর্যটক এখানে আসেন। কোনও বিশেষ দিনে পর্যটকের সংখ্যা বেড়ে যায় দ্বিগুণেরও বেশি। তাই, সামনে ঈদুল আজহার বিশেষ সরকারি ছুটিতে কয়েক লাখ পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে আসতে পারেন বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। তাই, পর্যটকদের সুবিধার্থে ৪০ শতাংশ ছাড়ের পাশাপাশি সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
কক্সবাজারের পর্যটন উদ্যোক্তা আব্দুর রহমান বলেন, ‘কক্সবাজারে প্রতি মাসে পর্যটক থাকেন, তবে বিশেষ বিশেষ দিনে তাদের আনাগোনা বেড়ে যায়। তাই পর্যটকদের আনন্দের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে এবং আরামদায়ক ভ্রমণের লক্ষ্যে প্রায় ৪০% পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হয়েছে এই ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে।’
কক্সবাজার কলাতলী মেরিন ড্রাইভ হোটেল রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মুকিম খান বলেন, ‘ঈদকে কেন্দ্র করে সেজেছে হোটেল-মোটেলগুলো। এ ছাড়া পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণে আমরা সব সময় সজাগ রয়েছি।’
কক্সবাজার আবাসিক হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ বলেন, ‘গত রোজার ঈদে প্রথম ১০ দিন ভালো ব্যবসা হয়েছিল। কিন্তু, এরপর থেকে পর্যটক কমেছে। এই অবস্থায় আমাদের অনেক বড় লোকসান গুনতে হয়েছে। কোরবানির ঈদের ছুটিতে পর্যটক আসলে আমরা লোকসান পুষিয়ে নিতে পারবো, এমনটাই আশা করছি।’
কক্সবাজার হোটেল মোটেল ও রেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার বলেন, ‘অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর স্কুল-কলেজে পরীক্ষা, তাপমাত্রা বৃদ্ধি, উপজেলা নির্বাচন ও ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে পর্যটকের পরিমাণ কম। তবে শেষ মুহূর্তে পর্যটক সমাগম ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।’
ঈদে নিরাপত্তা জোরদারের বিষয়ে টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, ‘আসন্ন ঈদে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে পর্যটন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। এ ছাড়া বিশেষ বিশেষ টিম মাঠে নামানো হবে। বিচের নিরাপত্তাসহ সব অপরাধীদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে থাকবে এই টিম। পর্যটনের স্বার্থে টুরিস্ট পুলিশের অবস্থান সব সময় জিরো টলারেন্স থাকবে।
শুধু কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত নয়, জেলার অন্য ভ্রমণকেন্দ্রগুলোতেও অবাধে ঘুরে বেড়াবেন পর্যটকরা এই প্রত্যাশা পর্যটনসংশ্লিষ্ট সবার।