কোরবানির ঈদে ১৫ লাখ টাকা দামের ছাগলকাণ্ডে বহুল আলোচিত-সমালোচিত রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমান বলেছেন, ইফাত আমার ছেলে নন। এমনকি আত্মীয় বা পরিচিতও নন। আমার এক ছেলে। তার নাম তৈাফিকুর রহমান। আমি আনুষ্ঠানিকভাবে এসব অপ্রচারের প্রতিবাদ করবো।
সম্প্রতি ফেসবুকে কোরবানি উপলক্ষ্যে ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল কিনতে গিয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন ইফাত নামের এক তরুণ। গুঞ্জন উঠেছিল যে, তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা মতিউর রহমানের ছেলে। কিন্তু মতিউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে জানা যায় ভিন্ন তথ্য। তিনি ছাগলকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে অস্বীকৃতি জানান।
মতিউর রহমান এনবিআরের শুল্ক বিভাগের সদস্য। এর আগে ব্রাসেলসে বাংলাদেশের কমার্শিয়াল কাউন্সিল, চট্টগ্রাম কাস্টমসের কমিশনার, এলটিইউ ভ্যাট এর কমিশনারসহ বিভিন্ন দায়িত্ব ছিলেন।
এদিকে, ঢাকার মোহাম্মদপুরে অবস্থিত ‘সাদিক এগ্রো’ ফার্ম থেকে বলা হচ্ছে, আলোচিত তরুণ শুধু এক লাখ টাকা দিয়ে ছাগলটি বুক করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি পুরো টাকা পরিশোধ করে ছাগলটিকে খামার থেকে বাড়িতে নিয়ে যাননি এখনও।
ঘটনার শুরু গত সপ্তাহে, যখন আলোচিত ছাগল সাথে নিয়ে ইফাতকে উচ্ছ্বসিত ভঙ্গিতে কথা বলতে দেখা যায়। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে এই ক্রেতাকে অন ক্যামেরায় বলতে শোনা যায়, ‘১১ই জুন এটি ধানমন্ডি আট-এ ডেলিভারি দেয়া হবে।’
ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওতে ওই তরুণকে বলতে দেখা যায়, ‘এরকম একটি খাসি কেনা আমার স্বপ্ন ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘এরকম খাসি আমরা সামনাসামনি দেখিনি। আমার জীবনে প্রথম দেখা এটা। এটা আমার হবে, জানা ছিল না। আল্লাহ নসিবে রাখছে, তাই হইছে। এর থেকে বেশি কিছু আর কী বলবো।’
এদিকে, ছাগলের দাম নিয়ে এত জল্পনা কল্পনা, তা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জাতের ছাগল বলে বিবিসি বাংলার কাছে দাবি করেছেন সাদিক এগ্রোর মালিক মোহাম্মদ ইমরান হোসেন। তিনি বলেন, এ জাতের ছাগলের নাম ‘বিটল’ এবং ‘বাংলাদেশে এটি এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় ছাগল।
আলোচিত ওই ধূসর বাদামি রঙের ছাগলটির ওজন ১৭৫ কিলোগ্রাম এবং উচ্চতা ৬২ ইঞ্চি। ইমরান হোসেন জানান, ‘বিরল প্রজাতির এই ছাগল বাংলাদেশে এখন একটিই আছে।’
ছাগলটি আমদানি করা হয়েছিলো কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আজ থেকে দুই মাস আগে এটিকে তারা যশোরের একটি হাট থেকে কেনা হয়েছিল।’
বাংলাদেশ জার্নাল/