কক্সবাজার, (১৯ জুন ২০২৪):
গত মঙ্গলবার বাংলাদেশের কক্সবাজারে ভারী মৌসুমি বৃষ্টিপাতের ফলে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে কমপক্ষে সাতজন রোহিঙ্গা শরণার্থীসহ ১০ জনের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা এবং মানবিক সহায়তা প্রদানকারী সংস্থাগুলো গভীরভাবে শোকাহত।
প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কক্সবাজারের ৩৩টি শিবিরে প্রায় ৭ হাজার ৭৯৪ জন শরণার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, যার মধ্যে আনুমানিক ১ হাজার ১৯১টি আশ্রয়ণ ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। ক্রমবর্ধমান পানি ও ভূমিধসে শিক্ষা কেন্দ্র, স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র, মসজিদ, ল্যাট্রিন, পানির উৎস এবং গোসলখানার মতো গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সকাল থেকে মানবিক সহায়তা প্রদানকারী সংস্থাগুলো এবং শরণার্থী স্বেচ্ছাসেবীরা পানি না কমা পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পরিবারগুলিকে নিরাপদ আশ্রয় এবং বিভিন্ন সুবিধা প্রদানকারী কেন্দ্রগুলোতে স্থানান্তরিত করতে সহায়তা করছেন।
বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় করে জাতিসংঘের সংস্থাগুলো মানবিক সহায়তা প্রদানকারী সংস্থাগুলোকে সঙ্গে নিয়ে শরণার্থীদের অধিক পুষ্টিসম্পন্ন বিস্কুট ও রান্না করা খাবার, দুর্যোগ পরবর্তী ব্যবহার্য গৃহস্থালি জিনিসপত্র সরবরাহ শুরু করেছে, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীসহ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের প্রতিও বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় অতি ভারী বর্ষণের কারণে ক্যাম্পে ৮৯ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে এই ক্যাম্পগুলোতে প্রায় ৯ লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছেন। কমপক্ষে আগামী তিন মাস ধরে বর্ষা মৌসুম থাকায় আরও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং সে পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠার চেষ্টা চলছে। এরই মধ্যে গত এক সপ্তাহে সারাদেশে ব্যাপক বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।