চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলাচলকারী কক্সবাজার ঈদ স্পেশাল ট্রেন স্থায়ী ট্রেনে রূপান্তরিত করে নিয়মিত চালু রাখার দাবিতে রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাত আলীর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। এ সময় ট্রেনটি বন্ধ না করার আশ্বাস দেন রেলওয়ে মহাপরিচালক সরদার শাহাদাত আলী।
রবিবার (২৩ জুন) সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে সংগঠনের নেতারা এ স্মারকলিপি জমা দেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, রেলসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথে ১৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে নতুন রেলপথ নির্মাণ হয়েছে। এরপর রেল কর্তৃপক্ষ শুধু রাজধানীবাসীকে সুবিধা দেওয়ার জন্য ঢাকা-কক্সবাজার দুটি ট্রেন সার্ভিস চালু করা হলেও চট্টগ্রাম, দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের জনগণ রেলসেবা থেকে বঞ্চিত। এতে করে স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবির মুখে বিগত ঈদুল ফিতরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথে কক্সবাজার স্পেশাল নামে একটি ট্রেন সার্ভিস চালু হয়। যা অল্প সময়ের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে যাত্রীবান্ধব বাহনে পরিণত হয়েছে।
ঈদের পর নির্ধারিত সময়ে ট্রেনটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও স্থানীয় রেল প্রশাসনের মাঠ জরিপ প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রেনটি চলাচলের সময়সীমা দুই দফা বাড়ানো হয়েছে। তখন বাস মালিকেরা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে যাত্রী প্রতি বাস ভাড়া ১০০ টাকা পর্যন্ত কমিয়ে আনতে বাধ্য হয়। তারপরেও বাসে যাত্রী পাওয়া যাচ্ছিল না। এমন সময়ে অদৃশ্য কারণে এ ট্রেনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়েছে, দেশের আন্তঃনগর ট্রেন সার্ভিসগুলোর মধ্যে অন্যান্য ট্রেনের তুলনায় ঢাকা-কক্সবাজার এবং চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে যাত্রী বেশি এবং আয়ও বেশি। এ ছাড়াও ১৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ রেলপথে ঢাকা থেকে দুটি রেল চালালে বিনিয়োগ উঠবে না। এতে রেল কর্তৃপক্ষের লোকসানের বোঝা দিন দিন বাড়বে।
স্মারকলিপি গ্রহণকালে রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাত আলী ঈদ স্পেশাল হিসেবে চালু করা ট্রেনটি বন্ধ হবে না বলে আশ্বাস দেন এবং ট্রেনটিকে নিয়মিত চলাচলের ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণাও দেন।