সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, এদেশ থেকে ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলনকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র চলছে। দেশে অন্যায় জুলুম নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে। এমতাবস্থায় একজন সত্যিকার ঈমানদার হিসেবে কোনো অবস্থাতেই আল্লাহর উপর হতে আমাদের বিশ্বাস বা আস্থা হারিয়ে ফেলা চলবে না।
তিনি বলেন, মহান আল্লাহ মানব জাতির জন্য কল্যাণকর একটি বিধান ঠিক করে দিয়েছেন আর তা হলো ইসলাম। তাই আমাদের জীবনে ইসলামের হুকুম ও বিধানগুলো পরিপূর্ণভাবে অনুসরণ করতে হবে। ত্যাগের মহিমায় অনুপ্রাণিত হয়ে যেভাবে আমরা কুরবানী পেশ করেছি। অনুরূপভাবে ইকামাতে দ্বীনের বিজয়ে আমাদের যেকোনো ত্যাগ কুরবানী স্বীকার করতে হবে। কেবলমাত্র আল্লাহর গোলামী করার মাধ্যমেই সত্যিকার অর্থে ঈদের প্রাপ্তি পূর্ণ হবে। যতোদিন পর্যন্ত সমাজ ও রাষ্ট্রে আল্লাহর আইন কুরআন ও সুন্নাহর বিধান উপেক্ষা করে মানুষের তৈরি আইন দ্বারা পরিচালিত হবে সেখানে আর যাই হোক সত্যিকার ঈদের খুশি থাকতে পারে না। তিনি উল্লেখ করেন, এদেশে ইসলামী আদর্শকে বিজয়ী করার মাধ্যমেই প্রকৃত ঈদ উদযাপন করতে হবে।
গত রোববার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের পল্টন দক্ষিণ থানার উদ্যোগে আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য ও পল্টন দক্ষিণ থানার আমীর শাহীন আহমেদ খান। থানা সেক্রেটারি এডভোকেট মারুফুল ইসলামের পরিচালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগরীর মজলিসে শুরা সদস্য মুস্তাফিজুর রহমান শাহীন, থানার অফিস সম্পাদক ওমর ফারুক, থানা কর্মপরিষদ সদস্য জিয়া উদ্দিনসহ পল্টন দক্ষিণ থানার বিভিন্ন ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, আল্লাহ তার দ্বীনকে বিজয়ী করার জন্য আমাদের জান ও মালের মাধ্যমে চেষ্টা করতে বলেছেন। সুতরাং হুকুম দেওয়ার একমাত্র হকদার কেবল মহান আল্লাহ তা'আলা। যতদিন সেই হুকুম আমাদের দেশে কায়েম না হচ্ছে ততোদিন সত্যিকারভাবে ঈদ অর্থহীন। তিনি বলেন, আজকে দেশের অর্থ পাচার হচ্ছে, মানুষ খুন হচ্ছে, বেনজির আজিজের মতো ভয়ানক দেশ ধ্বংসকারীর নাম সামনে আসছে। জনগণের ভোটের অধিকার নেই, কথা বলার অধিকার নেই, ভাতের অধিকার নেই, আজকে মানুষ ভালো মতো লেখাপড়া শিখবে তার অধিকারও খর্ব করা হয়েছে। এই জালেম সরকারের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এদেশের মানুষ আজ আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে ফরিয়াদ করছে। তাই জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, তাদের মুক্তির জন্য দুর্বার গণআন্দোলনের বিকল্প নেই। তিনি দেশে জনগণের পছন্দের সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে শাহীন আহমেদ খান বলেন, শহীদদের রেখে যাওয়া এই সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়ন করতে আমরা যদি সচেষ্ট হই, তাহলে আশা করা যায় আমরা কাঙ্খিত মাঞ্জিলে পৌঁছাতে সক্ষম হবো। এদেশে ইসলামী আদর্শকে বিজয়ী করার মাধ্যমেই প্রকৃত ঈদ উদযাপন সম্ভব হবে।