মোসলেহ উদ্দিন, উখিয়া ●
বিজয় দিবসের আলোকে তিন দিনের ছুটিতে পর্যটকের ঢল নেমেছে পর্যটন স্পট ইনানী ও পাটোয়ারটেকে।
বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে কক্সবাজারে সমুদ্র দর্শণার্থীর সংখ্যা প্রায় পাঁচলাখ ছাড়িয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। উৎসবমুখর এ ছুটিতে পর্যটকের ঢল বিশেষ করে ইনানী ও পাটোয়ারটেকে ভরে গেছে। গত বৃহস্পতিবার, ১৬ ডিসেম্বর থেকে বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকের পদভারে অপুর্ব দৃশ্য। ইনানী বীচ,পাটোয়ারটেক থেকে শুরু করে কলাতলী পর্যন্ত বিনোদন স্পটের কোথাও ফাকানেই। সবখানেই উৎসব মুখর পরিবেশ।
সমুদ্র উপকুল উখিয়া থেকে মোসলেহ উদ্দিন জানান, টানা ছুটিতে প্রায় পাঁচ লাখের মতো পর্যটকের সমাগম হয়েছে গোটা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে। বৃহস্পতিবার, ১৬ ডিসেম্বর থেকে সারাদেশ থেকে হাজার হাজার পর্যটকরা কক্সবাজারে আসতে শুরু করেছে। এতে কক্সবাজারের চার শতাধিক হোটেল-মোটেল থাকলেও একশ্রেণীর ব্যবসায়িরা রুম ভাড়ায় চড়াদাম নিচ্ছে বলে আপত্তি রয়েছে। যেকারণে স্বল্প আয়ের পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে রাত যাপন করতেও দেখা যাচ্ছে। অনেকেই যাত্রীবাহী বাসের ভেতরেই রাত কাটাচ্ছেন। একশ্রেণীর লাঠিয়াল গাড়ি পার্কিংয়ের নামে ৮শ টাকা করেও আদায় করার চরম অভিযোগ উঠেছে।
পাশাপাশি পরিবহন ভাড়া আদায় করছে দ্বিগুণ। অটো বাইক, রিকশাচালক ও রেস্টুরেন্ট সবখানেই অসাধু ব্যবসায়ীদের গলাকাটা বাণিজ্যের আভাস। যে কারণে দূর-দূরান্ত থেকে আসা পর্যটকরা হয়রানি ও প্রতারিত হচ্ছেন।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের পক্ষ থেকে অনলাইন প্রিন্ট মিডিয়ায় শুক্রবার, ১৭ ডিসেম্বর পর্যটকদের যাতে কোন ধরনের হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে নির্দেশ প্রদান করা হয়। একইভাবে পর্যটকদের কোন ধরনের অভিযোগ থাকলে জেলা প্রশাসনের তথ্য ও অভিযোগ কেন্দ্রে জানানোর জন্য মাইকিং করা হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহমেদ সঞ্জুর মোরশেদ জানান, বিজয়ের মাসকে কেন্দ্র করে ইনানী ও পাটোয়ারটেকে পর্যটকের সংখ্যা অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত থানা ও টুরিস্ট পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।