পেকুয়া প্রতিনিধি:

পেকুয়ার বারবাকিয়ায় ৬নং ওয়ার্ডের স্থগিত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর। নির্বাচনে নৌকার মনোনীত প্রার্থী জিএম আবুল কাশেম তার প্রতিদ্বন্দ্বি চশমা প্রতীকের প্রার্থী মাওলানা বদিউল আলমের চেয়ে ৩১৪ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন।

রবিবার দুপুরে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার ও নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগ এনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন জিএম আবুল কাশেম।

নৌকার প্রার্থী জিএম আবুল কাশেম দাবী করেন, জামায়াত-শিবির সংশ্লিষ্ট স্বীকৃত মামলার আসামীসহ বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে ভোটে প্রভাব দেখানোর চেষ্টা করছেন প্রতিদ্বন্দ্বি চশমা প্রতীকের প্রার্থী মাওলানা বদিউল আলম। এছাড়াও তাঁর মেয়ের জামাই শিবিরের এক সময়ের ক্যাডার রফিকুল ইসলাম ও চট্টগ্রামের এইট মার্ডারের আসামী মিজবাহ উদ্দিনের পিতা মাওলানা আশরাফ আলীর নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র মজুদ ছাড়াও নৌকার সমর্থকদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। ভোটের কেন্দ্রে গেলে তাঁর সমর্থকদের প্রাণে হত্যার মত হুমকিও দিচ্ছে।

তিঁনি আরো বলেন, গতকাল রাতে নির্বাচনী পরিবেশ অশান্ত করার প্রয়াসে বেশ কিছু লাঠি মজুদ করে রাখেন মাওলানা বদিউল আলম ও তার অনুসারীরা। স্থানীয়রা বিষয়টি অবগত হওয়ার পর থানায় অবগত করলে মাওলানা বদিউল আলমের শ্যালক সেলিমের বাড়ি থেকে পুলিশ লাঠিগুলো উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার, সাতকানিয়া, বাঁশখালী, কুতুবদিয়া, চকরিয়াসহ বিভিন্ন স্থানের জামায়াত-শিবির ও এদের রাজনৈতিক শক্তির ক্যাডারদের নিয়ে আসা হয়েছে। পেশিশক্তি দিয়ে বদিউল আলম সাহেব জিততে চান। আমি ৩শতের বেশী ভোটে এগিয়ে রয়েছি। আমার বিজয় নস্যাৎ করতে কালো টাকা ও পেশী শক্তির প্রভাব বিস্তার করা হচ্ছে। আমাকে হুমকি ধমকি দেয়া হচ্ছে। আমি নিরাপত্তাহীতায় ভোগছি। তারা সংঘবদ্ধ। গত কয়েক মাস আগে পেকুয়ায় হিন্দুদের মন্দির ও বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়। জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা যারা ঘটনায় জড়িত ছিল এরা মূলত অধরা থেকে গেছে। তারাই এখন নির্বাচন নিয়ে বেপরোয়া।

ইতোমধ্যে মাওলানা বদিউল আলম দফা দফায় নাশকতা মামলার আসামী ও জামায়াত-শিবিরের ক্যাডারদের সাথে বৈঠক করে নির্বাচনী পরিবেশ অশান্তি করার প্রয়াস চালাচ্ছেন এমন অভিযোগও উত্থাপন করেন তিঁনি।

এসময় জেলা আ’লীগের সদস্য এসএম গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, রাজাখালী ইউপির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সিকদার বাবুল, মগনামা ইউপির চেয়ারম্যান ইউনুছ চৌধুরী, আ’লীগ নেতা মাশুক আহমদ, উপজেলা যুবলীগ সম্পাদক মোঃ বারেক ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সালাউদ্দিন মাহমুদসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।