গত ২৭ ডিসেম্বর টেকনাফ টুডেসহ কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে টেকনাফ পৌরসভার নির্বাচনে ৫নং ওয়ার্ডে ইভিএম এর মাধ্যমে কারচুপি, এজেন্ট বের করে দিয়ে দেড় ঘন্টা আলাদা কক্ষে অবস্থানের পর জানানো হলো মাদক কারবারী কাউন্সিলর নির্বাচিত শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত এই সংবাদটি আমার দৃষ্ঠিগোচর হয়েছে। এই সংবাদের আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। গেল ২৬ ডিসেম্বর পৌরসভা নির্বাচনে ৫নং ওয়ার্ডে আমিসহ ৫জন কাউন্সিলর প্রার্থী ছিলাম। এই নির্বাচনে ইভিএম এর মাধ্যমে জনগণের ভোটে আমি আবারো কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছি। এটা সহ্য করতে না পেরে পরাজিত চার প্রার্থী একজোট হয়ে নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে ইভিএম এর কারচুপির মাধ্যমে আমাকে বিজয়ী ঘোষণা করেছে বলে একটি সংবাদ সম্মেলন করে। টেকনাফ পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ৯ কেন্দ্রে ১২ হাজারের চেয়ে বেশি ভোটার ইভিএম এর মাধ্যমে ভোট প্রয়োগ করেছে। কোন কেন্দ্রে ইভিএম এর মাধ্যমে ভোট কারচুপি করার সুযোগ আছে কিনা যারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে তারাও ভালভাবে জেনেছে। একজনের ভোট অন্যজনে দিতে পারে না। নিজের ভোট নিজের আঙ্গুলের চাপ দিয়ে ভোট প্রয়োগ করতে হয়েছে। এর পরেও পরাজিত প্রার্থীরা ইভিএম এর মাধ্যমে ভোট কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচনের দায়িত্ব থাকা কর্মকর্তাসহ বাংলাদেশ সরকারের মানক্ষুন্ন করেছে। নির্বাচন চলাকালীন কেন্দ্রে দুই মেয়র, চার মহিলা কাউন্সিলর, আমিসহ ৫ পুরুষ কাউন্সিলর প্রার্থীর এজেন্টরা ভোট গগণা শেষ পর্যন্ত উপস্থিত থেকেছেন। কোন প্রার্থীর এজেন্ট বের করে দেওয়া হয়নি এবং আলাদা কক্ষে এক মিনিটের জন্যও অবস্থান করা হয়নি। সংবাদে আমাকে মাদক কারবারী উল্লেখ করা হয়েছে। পরাজিত চার প্রার্থীর মধ্যে মঞ্জুরুল করিম সোহাগের নাম রয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাদকের তালিকায় এবং সৈয়দুল ইসলাম শহিদের ইয়াবাসহ আটক হয়ে চট্রগ্রাম কারাগারে ছিলেন। নুরুল হোসাইনও পুলিশের দালালী নিয়ে সমালোচিত। এদের আয়ের উৎস কি? প্রশাসনকে খতিয়ে দেখার জন্য আহবান জানাচ্ছি। পরাজয় সহ্য করতে না পেরে একটি মহলের উদ্দেশ্যে চার পরাজিত প্রার্থী এক মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন করেছে, এই প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
প্রতিবাদকারী:
রেজাউল করিম মানিক
বর্তমান ও নব-নির্বাচিত কাউন্সিলর, ৫নং ওয়ার্ড,টেকনাফ পৌরসভা ও
নব-নির্বাচিত সহ-সভাপতি,টেকনাফ মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।