ক্যাপশন : লামায় শত্রুতার আগুনে পুড়ে যাওয়া দোকানের একাংশ। -লামা প্রতিনিধি।
লামা প্রতিনিধি:
বান্দরবানের লামা উপজেলার সীমান্ত হাছনাভিটায় আগুনে পুড়ে গেছে ৮ দোকান। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে এ ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয় বলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষ দোকানে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ দোকান ঘর মালিক আরফাতুল ইসলাম ও ব্যবসায়ীদের।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার ভোর ৩টার দিকে হঠাত আরফাতুল ইসলামের মালিকানাধীন কাপড়ের দোকানে আগুন জ্বলে উঠে। মুহুর্তের মধ্যে আগুন আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে এনামুল হক, রহিম, জয়নাল আবেদীন মেম্বার ও নাছির সওদাগরের নেতৃত্বে স্থানীয়রা পৌনে ২ ঘন্টা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ততক্ষণে আরফাতুল ইসলামের গবাদিপশুর ঔষধ, কাপড় ও ধানের দোকান, কাঞ্চন দাশের ঔষধের দোকান, ওসমান গনির মুরগি, কাঁচামাল ও মুদি দোকান পুড়ে যায়। এতে ব্যবসায়ীদের প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জয়নাল আবেদীন প্রকাশ জনুসহ ব্যবসায়ী ইউছুপ ও নাছির সওদাগর বলেন, দোকানগুলোতে কোন বিদ্যুতের সংযোগ কিংবা আশপাশে চা দোকানও পর্যন্ত ছিলনা। তাই প্রাথমিকভাবে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দোকান মালিক আরফাতুল ইসলামের প্রতিপক্ষ প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে আগুন লাগিয়ে দিতে পারে বলে ধারণা করছি।
এদিকে আরাফাতুল ইসলাম অভিযোগ করে জানায়, জমি নিয়ে বিরোদের জের ধরে গত ৩১ ডিসেম্বর প্রতিপক্ষ আনোয়ার হোসেন ও দোলোয়ার হোসেনরা আমাদের মৎস্য প্রকল্প থেকে জোরপূর্বক মাছ ধরে নিয়ে যেতে আসে। এ সময় আমার ভাই আক্কাস উদ্দিন বাঁধা দিলে তাকে মারধর করে প্রতিপক্ষ। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে প্রতিপক্ষের মাছ ধরার জালসহ সরঞ্জামাদি আটক করে। এ ঘটনায় আমার ভাই বাদী হয়ে গত বুধবার থানায় মামলা করলে ক্ষিপ্ত হয়ে বিবাদীরা আমাদের দোকানে আগুন লাগিয়ে দিতে পারে। সরই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইদ্রিস কোম্পানী বলেন, আগুনে দোকান পুড়ে যাওয়ার ঘটনা শুনেছি। তবে ঘটনাস্থল লোহাগাড়া উপজেলার পুটিবিলা ইউনিয়নে পড়েছে।
এ বিষয়ে ক্যয়াজুপাডা পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন জানান, দোকানে আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তবে ঘটনাস্থল পার্শ্ববর্তী পুটিবিলা ইউনিয়নে হওয়ায় তাদেরকে লোহাগাড়া থানায় অভিযোগ করার জন্য পরামর্শ প্রদান করেছি।