প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
বাংলাদেশ গ্লুকোমা সোসাইটি ও কক্সবাজারের হোপ ফাউন্ডেশন এর যৌথ উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী (বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার) বিনামূল্যে চোখের গ্লুকোমা পরীক্ষা কার্যক্রম হোপ ফাউন্ডেশন এর দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের চেইন্দাস্থ ক্যাম্পাসে সম্পন্ন হয়েছে। ৩৫ বছর বয়সার্ধ্বো পুরুষ-মহিলার চোখের গ্লুকোমা প্রতিরোধ করার নিমিত্তে জাতীয় জরিপের অংশ হিসেবে উক্ত ফ্রি ক্যাম্পে কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলা ও সদর উপজেলা থেকে ৩৫০ জনের অধিক পুরুষ-মহিলা এতে অংশগ্রহণ করেন এবং তাদের চোখের গ্লুকোমা পরীক্ষা করান পাশাপাশি কিছু মেডিসিন সহায়তাও গ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ গ্লুকোমা সোসাইটি এর উপদেষ্টা ও হারুন আই ফাউন্ডেশন হসপিটাল এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা: শেখ এম এ মান্নাফ, বাংলাদেশ গ্লুকোমা সোসাইটি এর বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও ধানমন্ডির বাংলাদেশ মেডিকেলের চক্ষু ডিপার্টমেন্টের হেড বিশিষ্ট চক্ষু চিকিৎসক প্রফেসর ডা: মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ গ্লুকোমা সোসাইটির নির্বাহী কমিটির সদস্য বিশিষ্ট চক্ষু চিকিৎসক ডা: মোঃ কামরুল ইসলাম খান, বাংলাদেশ গ্লুকোমা সোসাইটি এর নির্বাহী কমিটির সদস্য ও পরিচালক শেভরন চক্ষু হাসপাতাল চট্টগ্রাম এর বিশিষ্ট চক্ষু চিকিৎসক ডা: এম এ করিম, হোপ ফাউন্ডেশনের বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর কে এম জাহিদুজ্জামান উক্ত ফ্রি গ্লুকোমা ক্যাম্পের সরাসরি তদারকি করেন। অপসোনিন ফার্মা লিমিটেড এই গ্লুকোমা ক্যাম্পের সহায়তা প্রদান করেন।
বাংলাদেশ গ্লুকোমা সোসাইটির উপদেষ্টা ও হারুন আই ফাউন্ডেশন হসপিটাল এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা: শেখ এম এ মান্নাফ বলেন, গ্লুকোমা সোসাইটি কর্তৃক পরিচালিত গ্লুকোমা প্রতিরোধ বিষয়ক জাতীয় জরিপটি বাংলাদেশে প্রথমবারের মত পরিচালিত হচ্ছে আর এই জরিপে কক্সবাজার তথা হোপ ফাউন্ডেশনকে অন্তর্ভুক্ত করতে পেরে আমরা খুবই খুশি। জাতীয়ভাবে পরিচালিত এই জরিপের মাধ্যমে বাংলাদেশের গ্লুকোমা চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনায় অনেক উপকার পাওয়া যাবে। দুই দিনব্যাপী ফ্রি ক্যাম্পের মাধ্যমে অনেক অসহায়-গরীব মানুষের চোখের গ্লুকোমা পরীক্ষা করার সুযোগ করে দিতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত আর এই কাজে সার্বিক সহযোগিতা করায় হোপ ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জানাই।
বাংলাদেশ গ্লুকোমা সোসাইটির প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ মেডিকেলের চক্ষু ডিপার্টমেন্টের হেড বিশিষ্ট চক্ষু চিকিৎসক প্রফেসর ডা: মিজানুর রহমান বলেন, দুই দিনব্যাপী ফ্রী গ্লুকোমা জাতীয় জরিপে সার্বিক সহায়তা করার জন্য হোপ ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি পাশাপাশি এই ফ্রী ক্যাম্পের মাধ্যমে কক্সবাজারের কিছু গরীব-অসহায় মানুষের চোখের গ্লুকোমা পরীক্ষা করার মাধ্যমে তাদের কিছুটা হলেও স্বাস্থ্য সহায়তা করতে পেরে খুবই ভালো লেগেছে এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের মানবতার কাজে হোপ ফাউন্ডেশন পাশে থেকে করার আগ্রহ প্রকাশ করছি।
বাংলাদেশ গ্লুকোমা ফাউন্ডেশন এর নির্বাহী কমিটির সদস্য বিশিষ্ট চক্ষু চিকিৎসক ডা: এম এ করিম এই ফ্রি গ্লুকোমা জাতীয় জরিপে হোপ ফাউন্ডেশনের সার্বিক সহযোগিতায় সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের মানবতার কাজে হোপের সাথে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের জন্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
হোপ ফাউন্ডেশনের বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর কে এম জাহিদুজ্জামান বলেন, মূলত: হোপ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে গরীব ও অসহায় মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্যেই। আমি বাংলাদেশ গ্লুকোমা ফাউন্ডেশন ও এর পরিচালনা পর্ষদকে সাধুবাদ জানাই এই জন্য যে, তারা কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলা ও সদর উপজেলাকে গ্লুকোমা প্রতিরোধ বিষয়ক জাতীয় জরীপে অন্তর্ভূক্ত করার জন্য। ভবিষ্যতেও হোপ ফাউন্ডেশন এ ধরনের মানবতার কাজে সহায়তা প্রদানে সর্বদাই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
উল্লেখ্য যে, কক্সবাজার জেলার কৃতি সন্তান ডা: ইফতিখার মাহমুদ ১৯৯৯ সালে হোপ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন আর প্রতিষ্ঠানটি শুরুর দিন থেকেই অদ্যবধি গরীব-অসহায় নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করে আসছে।