মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু:
নাইক্ষ‍্যংছড়ি মায়ানমার সীমান্তের ঘুমধুম থেকে শুরু করে সদর ইউনিয়নের আষারতলী পযর্ন্ত প্রায় ১৮ কিঃ মিঃ সীমান্ত এরিয়া রয়েছে বাংলাদেশের। উক্ত সীমান্তের কোথাও না কোথাও প্রতিদিন মায়ানমারের অভ্যন্তরে ওই দেশের বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মি এবং মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মাঝে সংঘর্ষ চলে আসছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
রোববার সকাল দশটার সময় হতে দুপুর একটা পযর্ন্ত প্রথমে তুমুল বেগে তারপর থেমে থেমে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের আওয়াজ আসছে নাইক্ষ‍্যংছড়ির তিনটি পয়েন্টের দুই কিলোমিটার ভিতরে।
সীমান্ত জনপদে বসবাসকারী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঘুমধুমের ৩৫ নং সীমান্ত পিলার দিয়ে সকাল দশটা থেকে দুপুর ১টা পযর্ন্ত কিছু সময় পরপর বিস্ফোরণের বিকট আওয়াজ আসে।
অপর দিকে ৪৩ ও ৪৪ নং পিলার এলাকার সীমান্ত দিয়ে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া যায় সকাল ৯ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত , গণমাধ্যম কর্মীদেরকে জানিয়েছেন জামছড়ি বাসিন্দা মোহাম্মদ কামাল।
এ বিষয়ে ঘুমধুমে চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ এবং নাইক্ষ‍্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল আবছার ইমনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, লোকমুখে শুনেছি কিন্তু কোন ক্ষয়ক্ষতি নেই। তবে সীমান্তে বসবাসরতরা আতঙ্কে আছেন।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করে ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের প্রান্তে এসে পড়ে মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান ও ফাইটার হেলিকপ্টার একাধিক বার বাংলাদেশের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে এবং ওই দেশের সেনাবাহিনীর ব্যবহারিত গোলাবারুদ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এসে পড়াতে ভাবিয়ে তুলেছে সীমান্ত জনপদের বসবাসরত মানুষকে।

মায়ানমারের অভ্যন্তরে ওই দেশের বিদ্রোহী সংগঠন আরকান আর্মি এবং মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মাঝে চলা এই সংঘর্ষের কারণে আবারো ১০/১৫ জন রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে বলে এমন সংবাদ বেশ কিছু অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে সম্প্রতি মিয়ানমারের আকিয়াব জেলার এশারা বেগম (২৭), সাদেক হোসেন (৪০), মো. তাহের (১৩), মো. শরীফ (৯), বিবি আয়েশা (৭) ও বিবি জান্নাত (৩) পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন।

এবিষয়ে উখিয়ার পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান গফুর চৌধুরী সংবাদ মাধ্যমকে জানান, মিয়ানমারের বলিবাজার ও সাপ বাজার থেকে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ পালিয়ে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে তারা বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছেন।

এ বিষয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়োজিত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরান হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত এ রকম কোনো তথ্য আমরা পাইনি। বিষয়টি তিনি দেখছেন বলে জানান।