মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

সমু্দ্রপথে অবৈধভাবে স্বপ্নের মালেয়শিয়া যাওয়ার সময় মহেশখালীর সোনাদিয়া দ্বীপ থেকে উদ্ধার করা ১৪৯ রোহিঙ্গা শরনার্থীকে নোয়াখালীর ভাসানচরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। রোহিঙ্গা শরনার্থী ব্যবস্থাপনার সাথে সম্পৃক্ত একটি সুত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

উদ্ধার করা এসব রোহিঙ্গা ইতিমধ্যে ভাসানচরে পৌঁছেছে। এর আগে, ভাসানচরে পাঠাতে মঙ্গলবার ২২ মার্চ ভোরে ৩ টি বাসে করে তাদের কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম বোটক্লাবে নেওয়া হয়।

গত ২১ মার্চ বিকালে সোনাদিয়া দ্বীপ থেকে রোহিঙ্গাদের মহেশখালী থানার পুলিশ উদ্ধার করে। উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা দালালের সহযোগিতায় মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ট্রলারে করে সাগরপথে রওয়ানা দেয়। দালাল চক্রের প্রলোভনে পড়ে জনপ্রতি ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে স্বপ্নের মালয়েশিয়া যেতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রোহিঙ্গারা ট্রলারে ওঠেছিলো। কিন্তু সাগরে কোস্টগার্ড ও নৌ বাহিনীর কড়াকড়িতে মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে ট্রলারটি যেতে পারেনি। প্রায় এক সপ্তাহ’র চেষ্টাতেও সম্ভব না হওয়ায় টাকা ‘হজম’ করতে মালয়েশিয়া পৌঁছেছে বলে নারী, শিশুসহ ১৪৯ জন রোহিঙ্গাকে সোনাদিয়ার চরে নামিয়ে দিয়ে দালাল চক্র ট্রলার নিয়ে পালিয়ে যায়।

সোনাদিয়া দ্বীপ থেকে উদ্ধার করে ভাসানচরে পাঠানো ১৪৯ জন রোহিঙ্গার মধ্যে ৭৫ জন নারী, ৫১ জন পুরুষ ও ২৩ জন শিশু রয়েছে। ইতিপূর্বে আরো প্রায় ২৩ হাজার রোহিঙ্গা শরনার্থীকে উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে।