সিবিএন:

সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন কক্সবাজার জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম সিকদার।
সোমবার বিকাল সাড়ে চার দিকে কক্সবাজার সরকারি কলেজ মাঠে জানাযা শেষে মুহুরী পাড়া কবরস্থানে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে।

তার জানায় অংশ নিয়েছে হাজার হাজার মানুষ। মানুষে ভরে যায় জানাযার মাঠ।

জানাযায় অংশ নেন বিভিন্ন স্তরের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
জানাযা স্থলে জহিরুল ইসলাম সিকদারের মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলী জানানো হয়। মরদেহে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নেন দলের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক প্রবীণ নেতা হাবিবুর রহমান সিরাজ এবং কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগের পক্ষে অংশ নেন দলের সাধারণ সম্পাদক আজম খসরু ও সহ-সভাপতি সফর আলী।

আওয়ামী লীগের পক্ষে জহিরুল ইসলাম সিকদারের মরদেহে ফুল শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান হাবিবুর রহমান সিরাজ এবং কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগের পক্ষে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান আজম খসরু ও সফর আলী।

জানাযায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রকৃত আদর্শিক সৈনিকদের বেছে বেছে হত্যার করা হচ্ছে। আমি এই হত্যাকান্ডের নিন্দা জানাই। অবিলম্বে দ্রুত সময়ে মধ্যে খুনিদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

এছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে সভাপতি এড. ফরিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক এবং সভাপতি নজিবুল ইসলামের নেতৃত্বে কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগ জহিরুল ইসলাম সিকদারের মরদেহে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান।

উল্লেখ্য, গত ৫ নভেম্বর সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছিলেন জহিরুল ইসলাম সিকদার ও তার ছোটভাই কুদরত উল্লাহ সিকদার। রোববার দুপুর পৌনে একটার দিকে মারা যান জহিরুল ইসলাম সিকদার। বর্তমানে কুদরত উল্লাহ সিকদার মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।