নিজস্ব প্রতিনিধি, রাঙামাটি
রাঙামাটিতে আদিবাসী স্বীকৃতির দাবির অন্তরালে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) রাঙামাটি জেলা শাখা। শুক্রবার সকালে শহরের বনরূপা এলাকায় এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
পিসিসিপি রাঙামাটি জেলা সাধারণ সম্পাদক মো: তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, পিসিসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো: হাবিব আজম, পিসিএনপি রাঙামাটি জেলা সহ- সভাপতি কাজি জালোয়া, পিসিএনপি নেতা কামাল উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক হুমায়ূন কবির, পিসিসিপি চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি গিয়াস উদ্দিন, পিসিসিপি রাঙামাটি সরকারি কলেজ শাখার আহ্বায়ক মো: শহিদুল ইসলাম, পৌর শাখার সভাপতি মো: পারভেজ মোশারফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম বাবু, সাপছড়ি ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক মো: ওমর ফারুক।
বক্তারা বলেন, আদিবাসী স্বীকৃতি নিতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা এত মরিয়া হয়ে ওঠার কারণ কি? এর কারণ হলো, পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীরা আদিবাসী নয়, তারা বহিরাগত দেশ থেকে বিতাড়িত হওয়া আশ্রিত জাতি। ঐতিহাসিক তথ্য মতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বার্মা, ভারতের তিব্বত, ত্রিপুরা, মিজোরাম, মঙ্গোলীয় এবং চীনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ১৭৩০ সাল নাগাদ যুদ্ধে বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে অস্থায়ীভাবে আগমন করে।অনেক চাকমা ও মারমা পণ্ডিত, লেখকগণ তাদের লেখা বিভিন্ন বইতে উল্লেখ করেছে, তারা আদিবাসী নয়, তারা পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে বিতাড়িত হয়ে এ দেশে বসতি স্থাপন করেছে। তাদের অধিকাংশের আদি নিবাস বার্মা ও বার্মার চম্পকনগরে। তারা যে এ দেশের আদি বাসিন্দা নয়, এটা তারা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে অকপটে স্বীকার করেছে।
বক্তারা আরো বলেন, কাক যেমন ময়ূরের পেখম লাগালে ময়ূর হয় না, তেমনি এ দেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী তথা উপজাতিরা কখনো আদিবাসী হয় না। আদিবাসী হতে হলে ভূমি সন্তান হতে হয়, এবং হাজার বছরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ধারণ করতে হয়।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।